আগে ভোট না সংবিধান সংস্কার? জাতীয় না গণপরিষদ নির্বাচন– এ নিয়েই এখন রাজনীতির আলোচনা। নতুন দল জাতীয় নাগরিক পার্টির ঘোষণা, গণপরিষদ নির্বাচন বা সংবিধান পরিবর্তনের পরই হবে সংসদ নির্বাচন। কিন্তু বিএনপি বলছে ভিন্ন কথা। তাঁদের মতে ভোট পেছানোর অজুহাত বা কোন বিশেষ চক্রান্তের অংশ এসব দাবি।
অন্তর্বতীকালীন সরকারের সাাত মাস পেরিয়ে গেছে। দেশেকে পুনরুজ্জীবীত করতে নেয়া হয়েছে পদক্ষেপে। সরকারের পক্ষ থেকে নির্বাচনের সম্ভাব্য সময়ের কথাও বলা হয়েছে।
কিন্তু এসব নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে চলছে তর্ত বির্তক। এরি মধ্যে গণঅভুথ্যানে নেতৃত্বদানকারীরা গঠন করেছে নতুন দল।
বিএনপি সহ সমমনা দলগুলো তোড়জোড় দিচ্ছে জাতীয় নির্বাচনের। অন্যদিকে নতুন দলের পক্ষ থেকে দাবি করা হচ্ছে আগে গণপরিষদ ও নতুন সংবিধানের।অবশ্য এ থেকে সরে এসে তারা এখন বলছে গণপরিষদ ও জাতীয় নিরবাচন এক সাথে হবারা কথা।
যদিও সরকারের পক্ষ থেকে নির্বাচন দেবার কথা বলা হলেও কোন রোডম্যাপ ঘোষণা হয়নি।তারপরেও রাজনীতির মাঠে নির্বাচন নিয়ে চলছে তর্ক বির্তক।
আর এসব কে বিএনপি কিভাবে দেখছে।দলটির সিনিয়র নেতারা নাগরিক টিভিকে বলেন,নির্বাচন পেছানোর অর্থ হচ্ছে দেশকে পেছানো। বর্তমান রাজনৈতিক পেক্ষাপটে দেশে জাতীয় নির্বাচন প্রয়োজন।গণপরিষদ নির্বাচন করার কোন আইনগত দিন নেই।
সংবিধান পরিবর্তন বা গণপরিষদ নির্বাচনের যে ধোঁয়া তোলা হচ্ছে তাকে ষড়যন্ত্র হিসেবেও দেখছেন দলটির নেতারা।তারা মনে করেন চক্রান্ত করে কোন বিশেষ কারণে নির্বাচন পেছানোর জন্যই এসব বলা হচ্ছে।
বিএনপি নেতারা বলছেন নিজেদেরে স্বার্থে না বরং ঐক্যমত হওয়া উচিত দেশের সার্থে।সে লক্ষ্যে সবাই মিলে ঐকমত্যে পৌছেঁ দ্রুত নির্বাচনের ব্যবস্থা করা।
এনএ/