শ্বাসনালী পুড়ে যাওয়া রোগীদের আশার আলো দেখাচ্ছে হাইপারবারিক অক্সিজেন থেরাপি। চিকিৎসকরা বলছেন, শুধু পুড়ে যাওয়া রোগী নয় এই এইচবিওটিতে নানা জটিল রোগের চিকিৎসা দেয়া সম্ভব। দেশে মাত্র দুইটি হাসপাতালে রয়েছে এই থেরাপির ব্যবস্থা। চিকিৎসকরা তাগিদ দিচ্ছেন জনবল ও প্রযুক্তি সুবিধা বাড়ানোর।
৪২ বছর বয়সী মুসফিকা নাহার মাছুমা। জরায়ুমুখ ক্যানসারে ভুগছেন বেশ কয়েক বছর ধরে। নিয়েছেন রেডিওথেরাপিও।

এরপর মাছুমার রেডিয়েশন সিসটাইটিসের কারণে বন্ধ হচ্ছিলো না অভ্যান্তরীন রক্তপাত। চিকিৎসকের পরামর্শ হাইপারবারিক অক্সিজেন থেরাপির মাধ্যমে রক্ত ও টিসুতে অক্সিজেনের পরিমান বাড়ানোর।
রাজধানীর ন্যাশনাল বার্ন এন্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনিস্টিটিউটে নিচ্ছেন হাইপারবারিক অক্সিজেন থেরাপি। ২ মাসে নিতে হবে ৬০টি সেশন। এরইমধ্যে নিয়েছেন ১৯টি। অবস্থা অনেকটাই উন্নতির দিকে বলছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলছেন, এই হাইপারপারিক অক্সিজেন থেরাপির মাধ্যমে অটিজম স্পেকট্রাম ডিজঅর্ডার, স্ট্রোক এবং শ্বাসনালী পুড়ে যাওয়াসহ নানা রোগের চিকিৎসা দেয়া সম্ভব। এবং রক্তে ও টিসুতে অক্সিজেন বাড়ানোর কার্যক্রর উপায়ও এটি।
দেশে ২০১৫ সালে প্রথমবারের মতো ঢাকা মেডিকেল ২টি মেশিন এবং ২০১৯ সালে ন্যাশনাল বার্ন ইনস্টিটিউটে ৬টি মেশিন স্থাপন করে এই অক্সিজেন থেরাপি চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।

শ্বাসনালী পুড়ে যাওয়াসহ নানা জটিল রোগের চিকিৎসায় জনবল এবং এইচবিওটি মেশিন বৃদ্ধির তাগিদও দিচ্ছেন চিকিৎসকরা।
চিকিৎসকরা বলছেন, দেশে নামমাত্র মূল্য ৫০০ টাকায় মিলে একটি থেরাপি। একজন রোগীর জন্য ৩০ থেকে ৪০টি থেরাপিতেই সুস্থ হয়ে উঠেন। উন্নত দেশে এই চিকিৎসা নিতে খরচ হয় ৩ থেকে ৪ লাখ টাকা।
এনএ/