অবস্থান পরিবর্তন করে নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই বাংলাদেশকে স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা, এলডিসি থেকে উত্তরণ করার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। যদিও বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দেশের ভঙ্গুর অর্থনীতিতে সরকারে নেয়া সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে মোকাবেলা করতে হবে বিপুল চ্যালেঞ্জ।
এলডিসি থেকে বের হওয়া না হওয়া নিয়ে নানা বিতর্কের পর অবশেষে চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে পৌছেছে সরকার। ২০২৬ সালের নভেম্বরেই উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে বিশ্বে পরিচিত হবে বাংলাদেশ।
এদিকে এলডিসি থেকে উত্তোরণ করতে মোকাবেলা করতে ব্যাপক চ্যালেঞ্জের মুখে পড়বে বাংলাদেশ। শুল্পমুক্ত বাণিজ্য সুবিধা বন্ধ হওয়ার পাশাপাশি ওষুধ শিল্পে পড়বে বৈরি প্রভাব। তারওপর উন্নত দেশের নানা সহায়তা পাওয়া নিয়ে থাকবে শঙ্কা।
দেশে চলমান ভঙ্গুর অর্থনীতি আগামী বছরের মধ্যে ঠিক-ঠাক করা কতটা সম্ভব তা নিয়ে রয়েছে প্রশ্ন। যে কারণে এ মূহুর্ত্বে এলডিসি থেকে বের না হওয়ার পরামর্শ অর্থনীতিবিদের।
এলডিসি থেকে বের হতে মাথাপিছু আয়, মানবসম্পদ, জলবায়ু ও অর্থনৈতিক ভঙ্গুরতা এ তিন সূচকের যোগ্যতা বাংলাদেশ অর্জন করেছিল অনেক আগেই। কিন্তু চলমান অর্থনীতির সংকট কাটিয়ে উঠতে নিতে হবে ব্যাপক চ্যালেঞ্জ। অবশ্য তা মোকাবেলায় প্রস্তুত সরকার।
বর্তমানে বিশ্বে এলডিসির আওতায় ৪৪টি স্বল্পোন্নত দেশ রয়েছে। এর মধ্য থেকে বাংলাদেশের মর্যাদা বৃদ্ধিতে এলডিসি থেকে বের হওয়া সুখকর হলেও কতোটা, এ মূহূর্ত্বের জন্য তা কতোটা বাস্তব সে শঙ্কা সংশ্লিষ্টদের।
এনএ/