রমজানে প্রতিবারেই নিত্যপণ্যের দাম বাড়ানোর পায়তারা করে অসাধু ব্যবসায়ীরা। এবারের রোজায়ও যে চেষ্টা থাকলেও সব মিলে বাজার পরিস্থিতি সহনীয়। বছর ব্যাবধানে কমেছে অনেক পণ্যের দাম। তবে স্বস্তির বাজারে গলার কাঁটা যেন ভোজ্যতেলের দুষ্প্রাপ্যতা আর চালের দর।
মাহে রমজান। সিয়াম সাধনার এ মাসে খাবার দাবারের তালিকায় আসে বদল। সংযমের এ মাস জুড়ে চাহিদা বাড়ে সব পণ্যের। আর বরাবর এর সুযোগ নেন ব্যবসায়ীরা।
গত বছরের সাথে এ বছরের বাজার পর্যবেক্ষণে উঠে আসে মুদ্রার দুই পিঠের চিত্র। বছর ব্যবধানে ডাল, চিনির দাম কমলেও চালের দাম বেশ চড়া। দুই দফা বেড়ে মিনিকেট ৮৪-৮৫ টাকা গত বছর ছিলো ৭০-৭২ টাকা, নাজিরশাইল ও বেড়েছে কেজিতে ১০-১৫ টাকা। তেলের দাম অপরিবর্তিত থাকলেও বাজারে নেই পর্যাপ্ত সরবরাহ। লিটার প্রতি বিক্রি হচ্ছে ১৭৫ টাকায়।
বছর ব্যবধানে অধিকাংশ সবজির দাম সহনীয় হলেও রোজার চাহিদায় দাম বেড়েছে লেবু ও বেগুনের। শসা ১০ টাকা কমে ৭০ টাকা, কাঁচা মরিচে কম ৩০ টাকা, টমেটো বিক্রি হচ্ছে গতবারের অর্ধেক দামে, কেজি প্রতি ২০ টাকা। তবে ৩০ টাকা বেড়ে বেগুন ১শ টাকা আর লেবু হালি প্রতি বৃদ্ধি ৫০ টাকা।
মাংসের বাজারেও দেখা গেছে স্বস্তি-অস্বস্তির মেলবন্ধন। গত রোজায় সবথেকে বেশি উত্তাপ ছড়ানো পোল্ট্রি মুরগী এবার কেজি ২০ টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে ২১০ টাকায়। তবে সাতশো থেকে সাড়ে সাতশোর গরুর মাংস এখন আটশো ছুঁইছুই। প্রতি কেজি ৭৬০-৭৮০ টাকা। খাসির মাংস বিক্রি হচ্ছে বারো থেকে সাড়ে বারশো টাকায়। গত রোজায় যা ছিল ১১০০ টাকা। মাছের দামেও আছে ভিন্নতা। বোয়াল, চিংড়ির দাম কম হলেও বেশি চাষের রুই, কাতল, তেলাপিয়ার দাম। বড় সাইজের ইলিশেও দাম বেড়েছে ৩০০ টাকা।
ইফতারের অন্যতম অনুষঙ্গ খেজুরের বাজার নাগালে। মানভেদে সব ধরনের খেজুরের দাম কমতির দিকে। ১৫০০ টাকার মেডজুল ১৩০০ টাকা।১২০০ টাকার আজওয়া হাজার টাকা। তবে শুল্ক বাড়ায় বাড়তি সব ধরনের ফলের দাম।
এনএ/