বাংলার পুরোনো বছরকে বিদায় ও নতুন বছরকে স্বাগত জানিয়ে উৎসবমুখর পরিবেশে বৈশাবি উৎসব পালন করেছে বান্দরবান খাগড়াছড়ি ও রাঙ্গামাটির তিন সম্প্রদায় । চাকমা, ত্রিপুরা ও তনচংগ্যা সম্প্রদায়ের মানুষরা বিভিন্ন নামে এ উৎসব পালন করেন।
সূর্যোদয়ের সাথে সাথে ঐতিহ্যবাহী পোশাকে রঙ-বেরঙের বুনোফুল হাতে নদীর তীরে আসতে শুরু করে চাকমা সম্প্রদায়ের তরুণ-তরুণীসহ নানান বয়সী মানুষ। ফুল বিজু উপলক্ষ্যে স্থানীয় ছড়া এবং নদীতে ফুল ভাসানোর মধ্য দিয়ে খাগড়াছড়িতে শুরু হয় বৈসাবি উৎসবের মূল আনুষ্ঠানিকতা।
বন থেকে সংগ্রহ করা বিজু ফুল ছাড়াও মাধবীলতা, অলকানন্দা, রঙ্গন ও জবাসহ বাহারি নানান রঙের ফুল ভাসানো হয় নদীর জলে। ভোরে শহরের সাঙ্গু নদীর ঘাটে পানিতে ফুল ভাসিয়ে ঐতিহ্যবাহী এই উৎসব উদযাপন করেন বান্দরবনের চাকমা ও তঞ্চঙ্গ্যা সম্প্রদায়ের জনগোষ্ঠী । এসময় অংশ নেন বিভিন্ন বয়সের নারী-পুরুষ।
রাঙ্গামাটির পাহাড়ি সম্প্রদায়ের মানুষ ঐতিহ্যবাহী পোশাকে সজ্জিত হয়ে নদীতে ফুল ভাসানোর উৎসবে অংশ নেন। রাজবন বিহার ঘাটে চাকমারা ফুল বিজুতে হ্রদের পানিতে ফুল ভাসান। ত্রিপুরারা ফুল ভাসানোর পাশাপশি বয়স্ক স্নান ও বস্ত্র বিতরণ করে। চলে আদিবাসী নৃত্যগীত। চৈত্র মাসের শেষ দুই দিন এবং পহেলা বৈশাখ নিয়ে মোট তিন দিন ধরে চলে বৈশাবি উৎসব। উৎসবের দিনে ফুল দিয়ে ঘর সাজানো হয় । সূর্যোদয়ের সময় নদীর ঘাটে ফুল দিয়ে পানির দেবতা গোঙামাকে পূজা দেওয়া হয়।