কীভাবে আইফোন ব্যাকআপ করতে হয় সেটি জানা একজন নিয়মিত ব্যবহারকারীর জন্য খুবই জরুরি। কারও ফোনের মেসেজ, ছবি, ভিডিও, অ্যাপে সেইভ করা তথ্য নিরাপদ রাখা আর হারিয়ে ফেলার মধ্যে পার্থক্য গড়ে দিতে পারে এটি।
ফোন হারিয়ে ফেলা বা এমনভাবে ভেঙে যাওয়া যে ওই ফোনের কনটেন্ট আর পাওয়াই যাবে না, এটা প্রায় দুঃস্বপ্নের মতো। কারণ, ফোনের ভেতরের তথ্য বেশিরভাগ ব্যবহারকারীর জন্যই অমূল্য। ফোনের বাইরের গ্লাস বা অ্যালুমিনিয়ামের তুলনায় তথ্যের গুরুত্ব অনেক বেশি।
আইফোনের বিভিন্ন তথ্য আইক্লাউডে ব্যাকআপ করা যাবে। এজন্য প্রথমেই সেটিংস অ্যাপটি চালু করতে হবে। ডিফল্টভাবে সব আইফোনের হোম স্ক্রিনেই যা পাওয়া যায়। অ্যাপটির আইকন অনেকটা স্টিলের তৈরি গিয়ার চাকতির মতো দেখতে।
সেটিংস অ্যাপটি চালু করার পরে ব্যবহারকারীর অ্যাপল আইডিটি স্ক্রিনের ওপরের দিকেই দেখা যাবে। ব্যবহারকারী স্ক্রিন স্ক্রল না করে থাকলে, সাধারণত ‘সেটিংস’ শব্দের নিচে বা সেটিংস মেন্যুর ‘সার্চ’ বারের নিচে থাকে অ্যাপল আইডি। এর ঠিক নিচেই ‘অ্যাপল আইডি’, ‘আই ক্লাউড’সহ ছোট ছোট পাঠ্য দেখা যাবে। এটি শনাক্ত করার পরে অ্যাপল আইডিতে ট্যাপ করুন। অ্যাপল আইডি পৃষ্ঠা চালু করলে, অন্তত পাঁচটি এন্ট্রির পর আইক্লাউড সেটিংস দেখা যাবে। সেখানে ট্যাপ করুন। আইক্লাউড সেটিংস পৃষ্ঠার নিচে ‘আইক্লাউড ব্যাকআপ’ দেখা যাবে, নীল-সবুজ রঙের ওপরে সাদা বৃত্তাকার তীরের একটি আইকনসহ। এরইমধ্যে বিকল্পটি ‘চালু’ বা ‘বন্ধ’ করা থাকলেও পরবর্তী ধাপে যেতে আইক্লাউড ব্যাকআপে ট্যাপ করুন।
যদি আগের স্ক্রিনে আইক্লাউড ব্যাকআপ বন্ধ করা থাকে, তবে প্রথমে ‘ব্যাকআপ দিস আইফোন’ বিকল্পের পাশের টগলটিতে ট্যাপ করতে হবে। আর তারপর ‘ব্যাকআপ নাও’ বিকল্পে ট্যাপ করতে হবে। আগের স্ক্রিনে আইক্লাউড ব্যাকআপ চালু করা থাকলে ব্যবহারকারীকে কেবল ‘ব্যাকআপ নাও’ বিকল্পে ট্যাপ করতে হবে। আর তাহলেই নিরাপদে ব্যাক আপ হতে থাকবে আইফোনের তথ্য।
স্বয়ংক্রিয়ভাবে ক্লাউড স্টোরেজে আইফোন ব্যাকআপ করার বিষয়টি অত্যন্ত সহজ করে দিয়েছে অ্যাপল, যেখানে ব্যবহারকারীরা তেমন উদ্বেগ ছাড়াই আইফোন ব্যবহারের অভিজ্ঞতা পাবেন। তবে সবচেয়ে সহজ ও বিস্তৃত এ ব্যাকআপ পদ্ধতিটি কোম্পানির নিজস্ব ক্লাউড স্টোরেজ আইক্লাউডের ওপরে নির্ভর করে। ফলে, ব্যবহারকারীদের আরও ক্লাউড স্টোরেজের প্রয়োজন হলে, অতিরিক্ত স্টোরেজ সাবক্রিপশনের জন্য অর্থ প্রদানে বাধ্য করে অ্যাপল। আর ব্যবহারকারীরা অ্যাপলের মূল্য কাঠামোয় আটকা পড়ে যান।