বান্দরবানের রুমায় সেনাবাহিনীর অভিযানে গোলাগুলিতে নিহত কেএনএফ সদস্য লালরেন রোয়াত বমের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
২৩ এপ্রিল সকালে ময়না তদন্তের জন্য রুমা থেকে সদর হাসপাতালের মর্গে মরদেহটি আনা হয়। নিহত যুবক কেএনএফ সদস্য বলে নিশ্চিত করেছে প্রশাসন। আইএসপিআর জানায়, ২২ এপ্রিল রুমা মুনলাই পাড়ায় যৌথবাহিনীর অভিযান চলাকালে কেএনএফের সাথে গোলাগুলি হয়। উদ্ধার করা হয় গোলাবারুদসহ বিভিন্ন সরঞ্জাম।
এছাড়া, বান্দরবানের রুমায় ব্যাংক ডাকাতি ও অস্ত্র লুটপাটের ঘটনায় কেএনএফের সংশ্লিষ্টতা সন্দেহে নারীসহ আরো ৭ জনকে গ্রেপ্তার করেছে যৌথবাহিনী। এরমধ্যে রুমা উপজেলা ছাত্রলীগের বহিষ্কৃত সভাপতি রয়েছেন। ২৩ এপ্রিল বেলা আড়াইটার দিকে গ্রেপ্তারকৃতদের আদালতে তোলা হলে কারাগারে পাঠানো নির্দেশ দেন জেলা চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক এ এস ইমরান।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন- লাইমিপাড়ার বাসিন্দা ভান বিয়াক লিয়ান বম (২৩), রুমা মুনলাই পাড়ার বাসিন্দা লাল নূন নোয়াম (৬৮), লাল দাভিদ বম (৪২), চমলিয়ান বম (৫৬), লাল পেক লিয়ান বম (৩২), লাল মিন বম (৫০) ও রুমা উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ভানমুন নোয়াম বম (৩৩)।
কেএনএফের সংশ্লিষ্টতার সন্দেহে ২২ জন নারীসহ ৭৮ জনকে রুমা ও থানচির ব্যাংক ডাকাতি, অস্ত্র লুট ও অপহরণের ঘটনায় করা ৯টি মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
পার্বত্য চট্টগ্রামের নতুন আতঙ্কে পরিণত হয়েছে কুকি চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট-কেএনএফ। সম্প্রতি বান্দরবানের পাহাড়ি সংগঠনটি তিনটি ব্যাংকে ডাকাতি ও এক কর্মকর্তাকে অপহরণ করে আলোচনায় আসে। এর আগেও ইসলামী জঙ্গীদের প্রশিক্ষণ দেয়ার অভিযোগ ছিলো সংগঠনটির বিরুদ্ধে।