কিশোরগঞ্জ ও সুনামগঞ্জের হাওরে প্রায় শতভাগ বোরো ধান কাটা শেষ হয়েছে। ঝড়-বৃষ্টি পুরোদমে চলছে মাড়াইয়ের তোড়জোর। এবার বোরো ধানের বাম্পার ফলনে কৃষকের মুখে তৃপ্তির হাসি। হাওর এলাকায় তাই উৎসবের আমেজ।
শস্য ভান্ডার হিসেবে খ্যাত কিশোরগঞ্জের হাওরে পুরোদমে চলছে বোরো ধান কাটা ও মাড়াই উৎসব। ফসল গোলায় তুলতে ক্লান্তিহীন কাজ করে যাচ্ছে হাওরের অঞ্চলের কৃষকেরা।
এবার হাওরের বোরো ধান কাটতে যন্ত্রের ব্যবহার বেড়েছে। পুরো হাওরে প্রায় সাত শতাধিক ধান কাটার হারভেস্টার মেশিন ব্যবহার হয়েছে। ধান কাটার মেশিনে সময় ও খরচ সাশ্রয়ী হওয়ার শ্রমিকদের চাহিদা অনেকটা কমে গেছে।
এবছর জেলায় ১ লাখ ৬৭ হাজার ১৫০ হেক্টর জমিতে বোরো আবাদ করা হয়েছে। এর মধ্যে শুধু হাওরের ১ লাখ ৪ হাজার হেক্টর জমিতে অন্তত সাড়ে ১২ লাখ মেট্রিক টন চাল উৎপাদন হবে।
এদিকে হাওরের আরেক জেলা সুনামগঞ্জেও এবছর বোরো ফসলের বাম্পার ফলন পেয়েছে কৃষকেরা।
সুনামগঞ্জে এবছর ২ লক্ষ ২৩ হাজার ২৪৫ হেক্টর ফসলি জমিতে বোরো ধানের আবাদ করা হয়েছে। ধানের উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১৩ লক্ষ ৭০ হাজার ২০০ মেট্রিক টন।
সুনামগঞ্জে এবছর জেলায় ছোট-বড় ৯৫ টি হাওরে বোরো ধানের আবাদ হয়েছে।