স্থানীয় নির্বাচনে ব্যবসায়ীদের দাপট, জাতীয় নির্বাচনকেও ছাড়িয়ে গেছে। টিআইবি বলছে, উপজেলা নির্বাচনের প্রথম ধাপে, চেয়ারম্যান প্রার্থীদের প্রায় ৭০ শতাংশই ব্যবসায়ী। অস্থাবর সম্পদ অর্জনেও, এমপিদের থেকে এগিয়ে স্থানীয় নির্বাচনের প্রার্থীরা। সকালে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য তুলে ধরেছে দুর্নীতিবিরোধী সংস্থাটি।
মধ্যরাতে শেষ হচ্ছে প্রচার, ৮ মে প্রথম ধাপের উপজেলা নির্বাচনের ভোটগ্রহণ। ইতিমধ্যে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় চেয়ারম্যান হয়েছেন ২৬ জন। মাঠে আছেন ১৩ জন মন্ত্রী-এমপির নিকট আত্মীয়। একটু দূরের স্বজনের সংখ্যাটাও কম নয়।
মন্ত্রী-এমপিদের স্বজনদের ভোটে দাঁড় না করাতে, নির্দেশনা দিয়েছিলো আওয়ামী লীগ। কিন্তু, তা ধোপে টেকেনি। ক্ষমতাসীন দলটি বলছে, এমন নির্দেশনা দেয়ার কারণ, নির্বাচনকে প্রভাবমুক্ত রাখা। তাবে, স্বাধীন নির্বাচন কমিশন ও প্রশাসন থাকার পরও, এমন নির্দেশনা দেয়ার প্রয়োজন কেনো, সেই প্রশ্নও তুলছেন অনেকে।
সকালে টিআইবির সংবাদ সম্মেলনও হলো উপজেলা নির্বাচন ঘিরে। হলফনামা বিশ্লেষণ ও ফলাফল শীর্ষক প্রতিবেদনে দেখানো হয়, প্রথম ধাপে যারা চেয়ারম্যান প্রার্থী হয়েছেন, তাদের ৬৯ দশমিক ৮৬ শতাংশই ব্যবসায়ী। ৫ বছরে এমপিদের চেয়েও বেশি সম্পদ বেড়েছে উপজেলার প্রার্থীদের।
বিএনপি উপজেলা নির্বাচন বর্জন করেছে। তবে, নিষেধজ্ঞা-বহিষ্কার সত্ত্বেও, দলটির লোকজনও প্রার্থী হয়েছেন। টিআইবি মনে করে, বিএনপির দলগত ভূমিকা একবারেই শূন্য।
প্রথম ধাপে ১৪২ উপজেলায় চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও সংরক্ষিত ভাইস চেয়ারম্যান পদে ভোট হবে। অংশ নেবেন ১ হাজার ৮৯১ প্রার্থী।