হুটহাট শুরুর পর, টুপ করেই পড়তির দিকে ব্যাংক একীভূতকরণ প্রক্রিয়া। প্রস্তুতির ঘাটতি, অনাস্থা আর ব্যাংকগুলোর আপত্তি। এসব কারণে, বড় পরিকল্পনা ছেড়ে, এখন সরু পথে হাঁটছে বাংলাদেশ ব্যাংক। আরও নানান বিষয়ে রয়েছে প্রশ্ন ও উদ্বেগ।
দুর্দশাগ্রস্ত ব্যাংক মিলে যাবে সবলের সঙ্গে। এ উদ্যোগ অনেকটা হুট করেই বাস্তবায়ন শুরু করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। নীতিমালার করার আগে চূড়ান্ত হয়, পদ্মাকে এক্মিম ব্যাংকের সঙ্গে মিলিয়ে দেয়ার। আবার স্বেচ্ছা প্রক্রিয়া বলা হলেও, পুরো কার্যক্রম যে জোরপূর্বক, তাও সংশ্লিষ্ট মহলের কাছে স্পষ্ট।
সুনির্দিষ্ট হিসাব পাওয়া না গেলেও, বিশ্লেষকরা বলছেন, প্রস্তাবে থাকা ৫ ব্যাংক মার্জার করতে দরকার হবে বিপুল তহবিল, যার সংস্থান বিবেচনায় রাখা হয়নি। ব্যয়ের টাকা সরকার রাজস্ব থেকে দেবে, না কি, টাকা ছাপিয়ে সংস্থান হবে, সেই প্রশ্ন এখন বড়।
এখন কেবল সোনালী ব্যাংকে মিলে যাবে বিডিবিএল। সেই প্রক্রিয়া চললেও, যাত্রাটি অনেক বড়, নিরীক্ষার চিত্রে বদলাতে পারে সিদ্ধান্তও। কেবল প্রক্রিয়ায় পদ্মা আর এক্সিম।
দিন যতো যাচ্ছে, প্রশ্ন, বাস্তবতা আর আপত্তির পাল্লাও বড় হচ্ছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকও তাই পিছু হটছে। আপাতত বেসিক, ন্যাশনাল ব্যাংক মার্জার প্রক্রিয়ার বাইরে থাকছে। আর রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক, সরকারকে চিঠি দিয়েছে আপত্তি জানিয়ে।
এদিকে, ব্যাংকের খারাপ সম্পদ কিনে নেবে আলাদা কোম্পানি, তারও অগ্রগতি নেই। ফলে সব খারাপ দায় কিনে দিতে হবে সবল ব্যাংককে, যা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে।