পতেঙ্গায় কর্ণফুলী নদীর মোহনায় বিধ্বস্ত হওয়া প্রশিক্ষণ বিমান থেকে তৎক্ষনাৎ মৃত্যু এড়াতে পেরেছিলেন দুই পাইলট। প্যারাশুট দিয়ে নিচে নামতে পারে। তবে আহত হয়ে মারা গেছেন একজন। কিন্তু কিভাবে, কেমন করে ঘটলো এই দুর্ঘটনা।
চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের অদূরে বিমান বাহিনীর জহুরুল হক ঘাঁটিতে থেকে উড্ডয়ন করেছিল ‘ইয়াক-ওয়ান থার্টি প্রশিক্ষণ বিমানটি। কিন্তু এদিন হঠাৎ আগুন ধরে যায়। এ সময় বিমানের পাইলট ও কো-পাইলট প্যারাশুট দিয়ে নিচে ঝাপ দেন। পড়েন পানিতে।
পরে তাদের কে নৌকা দিয়ে উদ্ধার করা হয়। পতেঙ্গার বানৌজা ঈসা খাঁ হাসপাতালে পাইলট অসীম জাওয়াদ চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। আহত উইং কমান্ডার সুহান জহুরুল হক ঘাঁটির মেডিকেল স্কোয়ার্ডনে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদফতর-আইএসপিআর জানিয়েছে, বিমান বাহিনীর ইয়াক-১৩০ প্রশিক্ষণ যুদ্ধবিমানটি ‘যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে’ দুর্ঘটনায় পড়ে। এ সময় জরুরি অবতরণের আগে বিমানটির চাকার নিচের অংশে আগুন ধরে যায়। পরে সেটি খণ্ড খণ্ড হয়ে বোট ক্লাবের পেছনে কর্ণফুলী নদীতে ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে।
ইয়াক-ওয়ান থার্টি রাশিয়ার তৈরি। বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর বহরে এ ধরনের ১২টির মতো বিমান রয়েছে। এটি অ্যাডভান্সড জেট প্রশিক্ষণ বিমান।