গতবারের তুলনায় এবার পরীক্ষার্থীর সংখ্যা এক শতাংশ কমেছে। দুপুরে সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান শিক্ষামন্ত্রী। তিনি বলেনে, বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী সংখ্যা কমতে থাকলে সরকারি সহায়তা প্রত্যাহার করা হবে।
সকালে প্রধানমন্ত্রীর কাছে ফলাফলের সারসংক্ষেপ হস্তান্তরের পর সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল। তিনি জানান, ২০২৪ সালের মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট, এসএসসি ও সমমান পরীক্ষায় গড় পাসের হার ৮৩ দশমিক ০৪ শতাংশ। গতবার পাসের হার ছিল ৮০ দশমিক ৩৯ শতাংশ। অর্থাৎ গতবারের তুলনায় এবার পাসের হার বেড়েছে ২ দশমিক ৬৫ শতাংশ।
এবার ছাত্রদের পাসের হার ৮১.৫৭ শতাংশ, ছাত্রীদের পাসের হার ৮৪.৪৭। নয়টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডে পাসের হার ৮৩.৭৭ শতাংশ। আর পাসের হারে সর্বোচ্চ যশোর বোর্ড, ৯২ দশমিক তিন ২ শতাংশ। সর্বনিম্ন সিলেট শিক্ষা বোর্ডে ৭৩ দশমিক তিন ৫ শতাংশ।
মন্ত্রী জানান, পরীক্ষায় ছাত্রদের অংশগ্রহণের হার কমছে। তাঁদের পিছিয়ে পরার কারণ অনুসন্ধানের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী সংখ্যা কমতে থাকলে সরকারি সহায়তা প্রত্যাহার করার হুশিয়ারিও দিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী।
মন্ত্রী বলেন, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের যুগোপযোগী নানা পদক্ষেপের কারণেই এ বছর পাশের হার বেড়েছে। তবে কমেছে মোট জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থীর সংখ্যা। একই সঙ্গে বেড়েছে শতভাগ পাশ ও শূন্য পাস করা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা।