পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জে উপজেলা নির্বাচনের পর ঘোড়া প্রতীকের সমর্থকদের ২০টি ঘরবাড়ি ও আওয়ামী লীগ অফিস ভাংচুর করা হয়েছে। এছাড়া ৫০ জনকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে জখম করা হয়েছে। এসব হামলার অভিযোগ বিজয়ী প্রার্থী খান মোঃ আবুবককর সিদ্দিকের সমর্থকদের বিরুদ্ধে।
ঘূর্ণিঝড় রিমালের কারণে ৩য় ধাপের স্থগিত হওয়া উপকূলীয় ২২ উপজেলার সাথে ৯ই জুন ভোট হয় মির্জাগঞ্জেও। খান মোঃ আবুবককর সিদ্দিক কাপ প্রিস মার্কায় ২৪ হাজার ৮ শত ৫০ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন। তার নিকতম প্রতিদ্বন্দ্বী মোঃ জহিরুল ইসলাম জুয়েল ঘোড়া প্রতীকে পেয়েছেন ২০ হাজার ৮ শত ৯২ ভোট। কিন্তু নির্বাচন নিয়ে এই দুই প্রার্থীর সমর্কদের মধ্যে দ্বন্দ্ব দেখা দেয়।
ঘোড়া প্রতীকের প্রার্থীর সমর্থন করায় গত রবিবার অন্তত ২০টি ঘর বাড়ি ভাংচুর এবং ৫০ জনকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে জখম করা হয়। হামলা করা হয় মির্জাগঞ্জ উপজেলার মজিদবাড়ী ইউনিয়নের টেংরাখালীর হিন্দু পরিবারেও।
এ ঘটনা প্রশাসনকে অবহিত করার পাশাপাশি মির্জাগঞ্জ থানায় দুটি মামলা করা হয়েছে। পুলিশ অভিযুক্ত কয়েকজনকে আটক করেছে।
নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী চেয়ারম্যান প্রার্থী বলেছেন, এভাবে চলতে থাকলে মির্জাগঞ্জ উপজেলার শান্তিশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হতে পারে।
তবে তার সমর্থকদের বিরুদ্ধে সকল অভিযোগ অস্বীকার করেছেন বিজয়ী চেয়ারম্যান।
ভুক্তভোগীরা এ ঘটনার দৃষ্টান্তমুলক শাস্তি ও ভবিষ্যত নিরাপত্তার দাবি জানিয়েছেন প্রশাসনের কাছে।