বাবারা হলেন সন্তানের জীবনের প্রথম ভালবাসা। তারা সুপারহিরো, যার হাত ধরে পৃথিবীর কঠিন পথ চলতে শুরু করে শিশুরা। আর তাই প্রত্যেক বাবাকে শ্রদ্ধা জানাতে প্রতি বছর জুন মাসের তৃতীয় রোববার সারা বিশ্বে পালন করা হয় ‘বিশ্ব বাবা’ দিবস। বিংশ শতাব্দীর শুরুর দিক থেকে এই বিশেষ দিনটি পালনের প্রচলন করা হয়।
ইতিহাস থেকে জানা যায়, ১৯০৯ সালে স্থানীয় গির্জায় গিয়ে সনোরা স্মার্ট ডড নামের এক নারী মা দিবস পালনের কথা শোনেন। মা দিবস পালনের রীতি থাকলেও বাবা দিবস পালনের রীতি নেই জেনে তিনি ভীষণ অবাক হন। তারপর তিনি বাবা দিবসের স্বীকৃতির জন্য সোচ্চার হয়ে ওঠেন। ডড তার বাবাকে অসম্ভব ভালোবাসতেন। মায়ের মৃত্যুর পর শত দুঃখ-কষ্টের মধ্যে থেকেও তাদের সাত ভাইবোনকে বড় করে তুলেছিলেন তাদের বাবা উইলিয়াম। বাবার এই ত্যাগ দেখে ডডের মনে হলো, মা দিবসের এত আয়োজন হলে বাবা দিবস কেন বাদ থাকবে। বাবাকে সম্মান জানানোর জন্যও একটা দিন থাকা দরকার।
তারপর অনেক চেষ্টা করে দীর্ঘ এক বছর সাধনা করার পর স্থানীয় কমিউনিটিগুলোতে বাবা দিবস পালন করতে পারেন ডড। ১৯১০ সালের ১৯ জুন বিশ্বে প্রথমবারের মতো পালিত হয় বাবা দিবস।
বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এ দিবসটি ভিন্ন দিনে পালন করা হয়। বাংলাদেশ, যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের বিভিন্ন দেশে বাবা দিবস পালন করা হয় জুন মাসের তৃতীয় রবিবার। দক্ষিণ আমেরিকায় দিবসটি পালন করা হয় ১৯ মার্চ। আর অস্ট্রেলিয়া ও ফিজিতে পালন করা হয় সেপ্টেম্বর মাসের প্রথম রবিবার।
বাবার প্রতি ভালোবাসা প্রকাশের এই বিশেষ দিনে সন্তানরা বাবাদের কোনও না কোনও উপহার দিতে পছন্দ করে। সমাজ, সংস্কৃতি, দেশভেদে উদযাপনে কিছুটা বৈচিত্র্য দেখা গেলেও প্রতিটা সন্তানের তাদের বাবার প্রতি ভালবাসার কোনও ভিন্নতা নেই।