পুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজি শেখ রফিকুল ইসলাম। অভিযোগ উঠেছে ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা সনদে চাকুরী নিয়ে ক্ষমতার অপব্যবহার করে গড়েছেন অঢেল সম্পত্তি। অবৈধ এ সম্পত্তি নজরে এসেছে দুদকের। অর্জিত সম্পত্তির তথ্যাদি প্রমাণে ১০ কার্য দিবস সময় পেলেও তাতে সাড়া না দেয়ায় তলব করা হবে।
শেখ রফিকুল ইসলাম ভুয়া সনদে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় ভাগিয়ে নেন ২০ তম বিসিএস পুলিশ ক্যাডার। পুলিশের চাকরি যেন তার জন্য আলাদিনের চেরাগ। পরিবারের কাছে রাতারাতি হয়ে ওঠেন চেরাগের দৈত্য। নিজের ও আত্মীয় স্বজনের নামে গড়ে তোলেন কয়েকশো কোটি টাকার সম্পত্তি।
ক্ষমতার অপব্যবহার করে প্রভাব খাটিয়ে দখল করেছেন সংখ্যালঘু সহ অসহায় নারী-পুরুষের জমি। এত অল্পদিনে অঢেল সম্পত্তি গড়ায় অবাক এলাকাবাসী।
তার ক্ষমতার অপব্যবহার শুধু দেশে নয় ছড়িয়েছে দেশের বাহিরেও। পারিবারিক দ্বন্দ্বে এক প্রবাসীকে ইন্টারপোলের মাধ্যমে জেল খাটিয়ে দিয়েছেন বিভিন্ন মামলা।
তবে অবৈধ এসব সম্পত্তি নজরে এসেছে দুদকের। অর্জিত সম্পত্তির তথ্যাদি প্রমাণে ১০ কার্য দিবস সময় পেলেও তাতে কর্ণপাত না করায় তলব করা হতে পারে তাকে। জানান দুদক আইনজীবী।
অবৈধ এসব সম্পত্তির বিষয়ে জানতে ডিআইজি রফিকুল ইসলামকে একাধিকবার ফোন করেও কোন সাড়া মেলেনি। নাগরিকের কথা হয় তার সহধর্মিণীর সঙ্গে। অস্বীকার করেন নিজের নামের সকল সম্পত্তির কথা।
গত ১৩ ই মে ডিআইজি রফিকের অর্জিত সম্পত্তির তথ্যাদি চেয়ে পুলিশ মহাপরিদর্শক বরাবর চিঠি দেয় দুদক।