৬৪৩ কোটি টাকার রাস্তার কাজ এক দিকে নির্মাণ হচ্ছে, আর একদিকে ভাঙছে বৃষ্টিতে। এমন দৃশ্য মেহেরপুর-কুষ্টিয়া আঞ্চলিক মহাসড়কের। সড়কটি নিমার্ণ শুরুর পর থেকেই নানা অনিয়ম ও নিম্নমানের বালু ও খোয়াসহ অন্যান্য উপকরণ ব্যবহারের অভিযোগ তুলেছেন স্থানীয়রা। পরিদর্শন করে এর সত্যতা পেয়েছি, ঠিকাদারের লোকজনকে বলা হয়েছে রাস্তা ঠিক করার জন্য বলে জানান সড়ক বিভাগের কর্মকর্তারা।
৬৪৩ কোটি টাকা ব্যয়ে মেহেরপুর কুষ্টিয়া আঞ্চলিক মহাসড়কের প্রশস্তকরণ ও সংস্কার কাজ চলছে। মাত্র কয়েক ঘন্টার বৃষ্টিতে ভেঙে গেছে সড়কের ২০-২৫ টি স্থান। সড়কটি কাজ শুরুর পর থেকেই নানা অনিয়ম ও নিম্নমানের বালু-খোয়াসহ অন্যান্য উপকরণ ব্যবহারের অভিযোগ তুলেছেন স্থানীয়রা।
অভিযোগের সত্যতাও মিললো। সম্প্রতি মাত্র কয়েক ঘন্টার বৃষ্টিতেই পিচ ঢালাই করা রাস্তাটির দুই পাশ ভাঙতে শুরু করে। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সড়কের কিনারা ভেঙে হুমকির মুখে পড়েছে নির্মাণাধীন এই প্রকল্প। ফাটল দেখা দিয়েছে সড়কের বিভিন্ন স্থানে।
কাজে নিম্নমানের ইট, খোয়া, পাথর, বালু ব্যবহার করার কারণে সড়কের কয়েকটি স্থানে উঁচু নিচু হয়ে দেবে গেছে বলে স্থানীয়দের অভিযোগ।
সংস্কারাধীন এই সড়কটি সম্প্রতি পরিদর্শনে যান উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মিজানুর রহমান। তিনি বলেন, কাজ এখনো চলমান রয়েছে।
এই বিষয়ে সড়ক ও জনপথ বিভাগের প্রধান প্রকৌশল সৈয়দ মইনুল হাসানের সাথে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করেও তাকে পাওয়া যায়নি।
এদিকে, সড়কটির গাংনী বিদ্যুৎ উপকেন্দ্রের কাছে ও চেংগাড়া বাজারের কাছের দুটি কালভার্ট ভেঙে নতুন করে নির্মাণ করা হয়নি। ফলে বহু বছরের পুরনো এসব কালভার্টে যে কোনো সময় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন এলাকাবাসী।