ঝুলে থাকা তিস্তা প্রকল্পে গতি আনতে, খোলা দরপত্র আহ্বানের পরামর্শ দিচ্ছেন বিশ্লেষকরা। যেখানে শুধু ভারত বা চীন নয়, অন্য দেশ বা সংস্থাও অংশ নিতে পারবে। প্রধানমন্ত্রীর চীন সফর ঘিরে, আবারো আলোচনায় এই প্রকল্প। এই প্রসঙ্গে বেইজিংয়ের সঙ্গে যাতে কোনো টানাপড়েন তৈরি না হয়, তার রূপরেখা সাজাচ্ছে ঢাকা।
তিস্তা, দেশের উত্তরাঞ্চলের প্রাণের অন্যতম উৎস। পানির ন্যায্য পাওনা নিয়ে প্রতিবেশী ভারতের সঙ্গে দেনদরবার চলছে বহু বছর ধরে। ততদিনে সমগ্র উত্তরবঙ্গ মরুভূমি হওয়ার পথে। এখন তিস্তায় নজর প্রাচ্যের অন্যতম পরাশক্তি চীনের।
২০১৬ সালে শি জিনপিংয়ের ঢাকা সফরের সময়, চীনের একটি পরিকল্পনায় যোগ হয় তিস্তা। এরই ধারাবাহিকতায় পাওয়ার-চায়না প্রায় এক বিলিয়ন ডলার বাজেটের ‘তিস্তা নদী সামগ্রিক ব্যবস্থাপনা ও পুনরুদ্ধার প্রকল্প’ প্রণয়ন করে।
তবে, ভারতের সাম্প্রতিক আগ্রহ বিষয়টিকে জটিল করে তোলে। তবে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জানিয়ে দেন, যারা ভালো প্রস্তাব দেবে, তারাই কাজ পাবে।
তবে কী ঝুলে যাচ্ছে তিস্তা প্রকল্প? ৮ জুলাই চীন যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী। পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয় সূত্র বলছে, বেইজিং কোনো প্রতিক্রিয়া না দেখানোয়, কিছুটা অস্বস্তিতে আছে ঢাকা। তবে, চীনকে পায়রা বন্দরকে ঘিরে দক্ষিণাঞ্চলের সমন্বিত উন্নয়নের কাজ দেয়ার আলোচনা থাকায়, চিন্তা কিছুটা স্তিমিত।
এদিকে, বিশ্লেষকরা বলছেন, তিস্তা প্রকল্পে চীন-ভারতের বিকল্পও মাথায় রাখা যেতে পারে।
বিশ্লেষকরা মনে করেন, তিস্তা সংকট সমাধানে সব পক্ষের সদিচ্ছার প্রশ্নও রয়েছে। যেদিকে, নজর বাড়ানো জরুরি।