রাজধানীজুড়ে গ্যাসের তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। গত এক সপ্তাহ ধরে সিএনজি পাম্প গুলোতে গ্যাসের চাপ নেই বললেই চলে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছে সিএনজি চালিত গাড়ী গুলো। এক সপ্তাহ ধরে কোন কোন স্টেশন বন্ধ বাকি গুলোতে লম্বা গাড়ীর সারি। লোকসানে আছেন চালকরা।
ঘূর্ণিঝড় রেমালের আঘাতে ক্ষতিগ্রস্ত হয় সামিটের ভাসমান এলএনজি টার্মিনালের দুটি ফ্লোটিং স্টোরেজ অ্যান্ড রিগ্যাসিফিকেশন ইউনিট।ফলে অর্ধেকে নেমেছে এলএনজি সরবরাহ, যার প্রভাব পড়েছে জাতীয় গ্রিডে। এ অবস্থা চলবে আরো অন্তত এক সপ্তাহ।
দেশের সিএনজি ফিলিং স্টেশনগুলো এখন লড়াই করছে টিকে থাকার। তিনটি পাম্প ঘুরে চার নম্বর স্টেশন থেকেও গ্যাসহীন ফিরতে হলো রফিক মিয়ার। অসহায় চোখ মুখে শোনালেন ভোগান্তির কথা।
রাজধানীর প্রতিটি সিএনজি ফিলিং স্টেশনে গ্যাসের জন্য গাড়ীর দীর্ঘ লাইন। যা ছাড়িয়েছে দেড় থেকে দুই কিলোমিটার পর্যন্ত। গত এক সপ্তাহ ধরে দুই থেকে তিন ঘন্টা অপেক্ষা যেন স্বাভাবিক ঘটনায় পরিণত হয়েছে।
ভোগান্তি যখন তীব্র আকারে। দিনের বেশির ভাগ সময় পাম্পগুলোতে ব্যয় করতে হচ্ছে চালকদের। এ অবস্থায় লোকসানের মুখে তা ফলে সংসার চালাতেও খেতে হচ্ছে হিমশিম।
সিএনজি চালক শুধু একা নন ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে যাত্রীদেরও। গ্যাসের অজুহাতে বেড়েছে ভাড়া। যানজটের পাশাপাশি পাম্পে ঘন্টার পর ঘন্টা সময় ব্যয়ে অতিষ্ঠ ব্যক্তিগত গাড়ির চালকরাও।
সিএনজি ফিলিং স্টেশনের পাশাপাশি রাজধানীর বাসা-বাড়িতে গ্যাস সংকট দেখা দিয়েছে। সংকট সমাধানেও নেই আশার আলো।