ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে অবৈধভাবে ইউরোপে যেতে গিয়ে মারা যাওয়া অভিবাসনপ্রত্যাশীদের ১২ শতাংশই বাংলাদেশি। জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার বৈশ্বিক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে। দুপুরে রাজধানীর একটি হোটেলে এই প্রতিবেদন তুলে ধরেন আইওএমের মহাপরিচালক এ্যামি পোপ। তবে, বাংলাদেশের অভিবাসন নিয়ে কাজ করতে হবে মত বিশ্লেষকদের।
পরিবার স্বজনদের জীবন মান উন্নয়নেই প্রবাসী হন সাধারণ মানুষ। বৈধ- অবৈধ পথে কখনো ভাগ্যের চাকা ঘুরে, কখনো বা উল্টো রথে চড়ে। প্রবসীদের ও এই জীবন চক্র নিয়েই প্রতি দুই বছরে অভিবাসন প্রতিবেদন তৈরি করে জাতিসংঘ অভিবাসন সংস্থা।
প্রথমবারের মতো এবার বাংলাদেশ থেকেই সেই প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। ২০-২২ সালের প্রতিবেদনে দেখা যায়, বিশ্বব্যাপী ২৮১ মিলিয়ন অভিবাসীর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে ১১৭ মিলিয়ন বাস্তুচ্যুত যা রেকর্ড। আবার বেড়েছে রেমিট্যান্সও, ৬৫০ শতাংশ।
প্রতিবেদনে বলা হয় জলবায়ু অভিবাসনে এশিয়ায় বাংলাদেশের অবস্থান পঞ্চম। এরমধ্যে শুধু ২০২২ সালেই দুর্যোগে বাস্তুচ্যুত হয়েছে ১৫ লাখ মানুষ। আর রোহিঙ্গা সংকটতো আছেই। পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, তাঁর প্রত্যাশা, রোহিঙ্গাদের দ্রুত প্রত্যাবাসনে জোরালো ভূমিকা রাখবে আইওএম।
এই অভিবাসন বিশেষজ্ঞ মনে করেন, প্রতিবেদনে ভালো মন্দ দুটোই আছে। তবে অদক্ষ শ্রমিক নিয়ে সংস্থাগুলো কঠোর হলে পরিস্থিতি পাল্টাতে বাধ্য মনে করেন তিনি।
তিনি বলেন, রেমিটেন্স নিয়ে তৃপ্তির সুযোগ নেই কারণ, নতুন যুক্ত হওয়া প্রবাসীর সংখ্যা তুলনায় রেমিটন্সে খুব কম।