23 C
Dhaka
শুক্রবার, ফেব্রুয়ারি ৭, ২০২৫

আফগানিস্তানের কাছে হেরে বিশ্বকাপ থেকে বিদায় নিল বাংলাদেশ

২০২৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সুপার এইটে নিজেদের শেষ ম্যাচেও জয়ের দেখা পেলো না বাংলাদেশ। ব্যাটারদের ব্যর্থতায় বৃষ্টিবিঘ্নিত ম্যাচে বাংলাদেশকে হারিয়ে প্রথমবারের মত সেমিতে জায়গা করে নেয় আফগানিস্তান। আজ ২৫ জুন সেন্ট ভিনসেন্টের কিংসটাউনে আফগানদের দেয়া ১১৪ রানের সহজ টার্গেট টপকাতে পারেনি নাজমুল হোসেন শান্তর দল।

সেমিতে ওঠার ক্ষীন সম্ভাবনা, সেটা প্রায় সত্যি করে ফেলেছিল। তবে কয়েকদফা বৃষ্টির ম্যাচে নানা নাটকীয়তায় ম্যাচ জিতে নেয় আফগানরা। ১১৪ রানের সহজ লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে টাইগাররা গুটিয়ে যায় মাত্র ১০৫ রানেই।

টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে টাইগার বোলারদের সামনে কোনঠাসা আফগান দুই ওপেনার রহমানুল্লাহ গুরবাজ ও ইব্রাহিম জাদরান। কোনভাবেই এই দুই আফগানকে সুযোগ দিচ্ছিলনা টাইগার বোলাররা। তৃতীয় ওভারে প্রথম বাউন্ডারির দেখা পায় আফগানরা।টাইগার বোলারদের দাপটে পাওয়ার প্লেতে এই দুই ওপেনার তোলেন মাত্র ২৭ রান।

ইব্রাহিম জাদরানকে ফিরিয়ে জুটি ভাঙেন লেগ স্পিনার রিশাদ হোসেন। শট খেলতে গিয়ে মিসটাইমিংয়ে ধরা পড়েন লং অফে তানজিম সাকিবের হাতে।

 শেষ পর্যন্ত ২০ ওভার শেষে টাইগাররা আফগানদের আটকে ফেলেছে ১১৫ রানে।

লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে প্রথম ওভারে লিটনের এক ছয় এক চারে ১৩ রান করে বাংলাদেশ। তবে রানের খাতা খোলার আগেই বিদায় নেন তানজিদ তামিম।

মহাগুরুত্বপূর্ন ম্যাচেও রান নেই শান্তর ব্যাটে। ফিরলেন ৫ রানে। সাকিব ফিরেন প্রথম বলেই। আনাড়ি শটে আউট হন এই অভিজ্ঞ অলরাউন্ডার।

এরপরের গল্পটা শুধুই রাশিদের। টাইগার ব্যাটারদের প্যাভিলিয়নে ফেরানোর কাজটা সেরে ফেলেন একাই। সৌম্য, হৃদয়, মাহমুদুল্লাহ, রিশাদ সবাইকে মাঠছাড়া করেন এই লেগস্পিনার।

সৌম্য কে বোল্ড করে ম্যাচ নিজেদের নিয়ন্ত্রনে নিয়ে নেয় আফগানরা। ১০ রানে ফেরেন এই ব্যাটার। রাশিদ খানকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে ক্যাচ আউট হয়ে ফিরেন তাওহীদ হৃদয়ও।

ধীরে ব্যাট চালিয়ে ৯ বলে মাত্র ৬ রান করে বাজে শটে প্যাভিলিয়নে ফিরেন মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ।

এরপর রিশাদকে প্রথম বলেই বিদায় করেন রাশিদ। তখনই ম্যাচ থেকে ছিটকে যায় বাংলাদেশ। এক প্রান্ত আগলে রেখে পড়ে থাকেন লিটন দাস। ফিফটি তুলে নিলেও তাকে ফেলে ফিরে গেছে সবাই। শেষমেশ আফগানরা প্রথমবারের মত সেমিফাইনালে জায়গা করে নেয়।

বিজ্ঞাপন

আরও পড়ুন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

বিশেষ প্রতিবেদন