দেশজুড়ে চলা গরমের তীব্রতার মধ্যে তাপমাত্রা আরও বাড়ার আভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এর মধ্যেই কয়েক স্থানে ঝড়বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে সংস্থাটি। এ ছাড়া সিলেট অঞ্চলের ওপর দিয়ে সর্বোচ্চ ৬০ কিলোমিটার বেগে ঝড় বয়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
বেশ কয়েকদিনের টানা তাপদাহের কারণে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে মানুষ। তাপমাত্রা যাই হোক না কেন, ঘরের বাইরে বের হওয়া কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছে। রাস্তায় বের হলে পুড়ে যেতে হচ্ছে। তাপে জ্বালা ধরছে সমস্ত শরীরে। যা এক অসহ্য অবস্থা। অধিকাংশ মানুষ খুব প্রয়োজন ছাড়া বাইরে বের হচ্ছেন না।
প্রখর রোদ আর তীব্র গরমে মানুষ স্বস্তি খোঁজার চেষ্টা করছে ফুটপাতের শরবতে। গরম বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে শরবতের চাহিদা বাড়ায় রাজধানীর বিভিন্ন সড়কেও গড়ে উঠেছে ভ্রাম্যমাণ শরবতের দোকান। তৃষ্ণা মেটাতে এসব দোকানে বেশি ভিড় করছে রিকশাচালক, দিনমজুর ও পথচারীরা।
আগে থেকেই তীব্র তাপপ্রবাহে পুড়ছিল দেশের অনেক এলাকা। এর মধ্যে যশোর ও চুয়াডাঙ্গায় অতি তীব্র তাপপ্রবাহ শুরু হয়েছে। দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪২ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে যশোরে, যা এ মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা। গত কয়েকদিন ধরেই রাজধানী ঢাকার উপর দিয়েও তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। যা অব্যাহত থাকবে আরও কয়েকদিন। সেই ধারাবাহিকতায় আজও ঢাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা উঠতে পারে ৪০.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত।
এর আগে ২০২৩ সালের ১৬ এপ্রিল ঢাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪০ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসে উঠেছিল। তার আগে ১৯৬৫ সালে এপ্রিল মাসে উঠেছিল ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। আর ১৯৬০ সালে ঢাকায় পারদ উঠেছিল রেকর্ড ৪২ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসে।
এপ্রিল বাংলাদেশের উষ্ণতম মাস। এ মাসে গরমের পাশাপাশি কালবৈশাখীরও দাপট থাকে। সারা দেশে চলমান হিট অ্যালার্টের মধ্যেই ৬০ কি.মি. বেগে ঝড় বয়ে যেতে পারে বলে জনিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।