ইরানের ইসফাহান প্রদেশে ইসরায়েল থেকে একটি ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানো হয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসির যুক্তরাষ্ট্রের অংশীদার সিবিএস নিউজে। ইরানে হামলার খবরের বিষয়ে ইসরায়েল দায় স্বীকার করেনি। ইরানের জাতীয় ইন্টারনেট জগৎ বা সাইবার স্পেস সংক্রান্ত মুখপাত্র হুসেইন ডালিরিয়েন জানিয়েছেন, ইরানের অভ্যন্তরে কোনো ধরনের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা হয়নি।
ইসফাহানের একজন শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তা মিহানদোস্ট জানিয়েছেন, ড্রোনের মতো তিনটি সন্দেহজনক বস্তুকে ইরানের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার মাধ্যমে ধ্বংস করা হয়েছে।
গণমাধ্যমে হামলার খবর সম্প্রচারের পর ইরানের কয়েকটি শহরে বিমান চলাচল বন্ধ করা হয়। পরে আবারও বিমান চলাচল শুরু হয়েছে। এ ঘটনার পর ইসফাহানে অবস্থিত পরমাণু কেন্দ্র নিরাপদ রয়েছে বলে জানিয়েছে ইরান। যেকোনো অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি মোকাবিলায় ইরানের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাও সচল করা হয়েছে।
১ এপ্রিল সিরিয়ার দামেস্কে ইরানি দূতাবাসে ইসরায়েলের হামলায় ১৩ জন নিহত হওয়ার জবাবে ১৩ এপ্রিল ইসরায়েলে ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা করে ইসরায়েল। ইরানের হামলার জবাব দেওয়ার ধরন নিয়ে বেশ কয়েকদিন উত্তপ্ত আলোচনা হয়েছে ইসরায়েলের যুদ্ধকালীন মন্ত্রিসভার বৈঠকে। সরাসরি হামলার পরিবর্তে কূটনৈতিক পথেও ইরানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার প্রস্তাবও উঠেছে। চলমান পরিস্থিতিতে ইরানে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।
বর্তমানে ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলের হামলা চলমান রয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে যুক্তরাষ্ট্র ও বেশ কয়েকটি ইউরোপীয় দেশ ইসরায়েলকে ইরানে পাল্টা হামলা না চালানোর জন্য আহ্বান জানিয়েছে।