সিরিয়ার দামেস্কে ইরানি কনস্যুলেটে হামলার জবাবে ইসরায়েলি ভূখণ্ডে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা করেছে ইরান। ১৩ এপ্রিল শনিবার গ্রিনিচ মান সময় রাত আটটার দিকে ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া শুরু হয়। ইসরায়েলি ভূখণ্ড লক্ষ্য করে এটা ইরানের প্রথম কোনো সরাসরি হামলা।
তেল আবিব, পশ্চিম জেরুজালেমসহ ইসরায়েলজুড়ে বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে। দেশটির ৭২০টিরও বেশি স্থানে বিমান হামলাজনিত সতর্কসংকেত বাজতে শোনা গেছে। ইসরায়েলি বাহিনীও ইরানি ক্ষেপণাস্ত্রগুলো ভূপাতিত করার চেষ্টা করেছে। ইসরায়েল দাবি করেছে, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স এবং জর্ডানসহ মিত্রদের সহায়তায় ৩শ ইরানী ড্রোন ও ক্ষেপনাস্ত্র তারা ভূপাতিত করতে পেরেছে। ইসরায়েল ইস্যুতে জাতীয় নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের সঙ্গে জরুরী বৈঠকে করতে যাচ্ছেন বাইডেন।
ইসরায়েলি বাহিনী আরও জানায়, ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলের সশস্ত্র বাহিনীর একটি ঘাঁটিসহ কয়েকটি জায়গায় হামলা চালাতে সক্ষম হয়েছে ইরান। সেখানকার অবকাঠামোগুলোতে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর মুখপাত্র ড্যানিয়েল বলেন, হামলার ঘটনায় কোনো প্রাণহানির খবর পাওয়া যায়নি।
ইসরায়েলের অনুরোধে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ জরুরি বৈঠকে বসতে যাচ্ছে। ইরাক, জর্ডান, লেবানন ও ইসরায়েল সাময়িকভাবে তাদের আকাশসীমা বন্ধ করে রেখেছে। কয়েকটি বিমান সংস্থা ওই অঞ্চলে ফ্লাইট চলাচল স্থগিত করেছে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এ ঘটনার নিন্দা জানিয়েছেন। ইসরায়েলের নিরাপত্তায় ওই এলাকায় মার্কিন বিমান এবং মিসাইল বিধ্বংসী অস্ত্র পাঠিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
ব্রিটিশ প্রতিরক্ষামন্ত্রী গ্রান্ট শ্যাপস এ ঘটনাকে কাণ্ডজ্ঞানহীন বলে আখ্যা দিয়ে ওই অঞ্চলে ব্রিটিশ রয়্যাল ফোর্সের অতিরিক্ত বিমান মোতায়েন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন।