ত্যাগের মহিমা নিয়ে উদযাপিত হচ্ছে, পবিত্র ঈদুল আযহা। সকালে জাতীয় ঈদগাহে অনুষ্ঠিত হয় ঈদের প্রধান জামাত। অংশ নেন রাষ্ট্রপতি, প্রধান বিচারপতিসহ দেশের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা। নামাজ শেষে ফিলিস্তিনের জন্য করা হয় বিশেষ মোনাজাত। দেশ ও মুসলিম উম্মাহর শান্তি ও কল্যাণ কামনা করেন ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা।
ঈদের নামাজ আদায়ে সকাল থেকেই জাতীয় ঈদগাহে জড়ো হতে থাকেন মুসল্লিরা। মানুষের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। ৩৫ হাজার মানুষের ব্যবস্থা থাকলেও, নামাজের আগেই পরিপূর্ণ হয়ে যায় পুরো ঈদগাহ।
সকাল সাড়ে আটটায় ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়। জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে ঈদের প্রধান জামাতে ইমামতি করেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব মুফতি রুহুল আমীন।
ঈদের প্রধান জামাতে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন, প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানসহ মন্ত্রিপরিষদ সদস্য, সংসদ সদস্য, সুপ্রিম কোর্ট ও হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি, রাজনৈতিক নেতা, সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, বিভিন্ন দেশের কূটনীতিকসহ বিভিন্ন শ্রেণিপেশার ও বয়সের মুসল্লিরা অংশ নেন।
মোনাজাতে দেশ, জাতি ও মজলুম ফিলিস্তিনিদির জন্য প্রার্থনা করা হয় মহান আল্লাহর কাছে। নামাজ শেষে কোলাকুলি আর করমর্দনে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন সবাই।
প্রধান ঈদ জামাতকে ঘিরে নেওয়া হয় ৫ স্তরের ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা। নিরাপত্তার কথা বিবেচনায় রেখে পল্টন মোড়, মৎস্য ভবন মোড় ও শিক্ষাভবনের মোড়ে ব্যারিকেড দিয়ে যান চলাচল বন্ধ রাখা হয়।
এদিকে, জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে ঈদুল ফিতরের পাঁচটি জামাত অনুষ্ঠিত হয়। সকাল ৭ টায় শুরু হয়ে চলে সকাল পৌনে এগারোটা পর্যন্ত।