হার দিয়ে সুপার এইট মিশন শুরু করেছে টাইগাররা। টাইগারদের ১৪০ রানের ছোট সংগ্রহ অজিরা ছুয়ে ফেলেছে বেশ হেসেখেলেই। যদিও বৃষ্টি বাগড়ায় মাঠে গড়ায়নি পুরো খেলা। বৃষ্টি আইনে বাংলাদেশকে ২৮ রানে হারিয়ে সুপার এইটে দারুন শুরু পেলো অস্ট্রেলিয়া। আসরে প্রথম হ্যাট্রিকের দেখা পেলো প্যাট কামিন্স।
ব্যাটিং ফ্রেন্ডলি উইকেটে টাইগারদের ১৪০ রানের ছোট সংগ্রহ সহজ করে ফেলে অজিরা। ডিএলএস মেথডে খুব সহজেই জিতে যায় সাবেক চ্যাম্পিয়নরা।
ইনিংসের প্রথম বলেই মিচেল স্টার্কের বলে বোল্ড তানজিদ তামিম। আসরে টানা দুই ম্যাচে প্রথম বলে ফিরলেন তামিম। এরপর লিটন আর শান্তর দেখেশুনে খেলার চেষ্টা। উইকেট আকড়ে ধরে খেলতে থাকেন এই দুই ব্যাটার। পাওয়ার প্লেতে শান্ত-লিটন দুজনে মিলে তুললেন ৩৯ রান।
উইকেটে থিতু হয়েও কিছুই করতে পারলেন না লিটন দাস। এডাম জাম্পার বলে সুইপ করতে গিয়ে বোল্ড হয়ে ফিরে যান অফফর্মে থাকা এই ডানহাতি।
ব্যাটিং ফ্রেন্ডলি উইকেটেও স্ট্রাগল করতে থাকে টাইগার ব্যাটাররা। রিশাদকে তিনে নামিয়েও কাজের কাজ হলোনা কিছুই। শর্ট থার্ডে ক্যাচ দিয়ে প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন এই ব্যাটার। ব্যাট থেকে আসে ৪ বলে ২ রান।
উইকেটে বেশ সাবধানী ছিলেন নাজমুল হোসেন শান্ত। তবে ৪১ রানেই এলবির ফাঁদে ফেলে তাকে উপড়ে নেন এডাম জাম্পা।
শয়ের ঘরে পৌছাতে বাংলার ব্যাটারদের খেলতে হলো ১৫ ওভার তিন বল। এর পরের ওভারেই আনাড়ি শট খেলে স্টয়নিসের বলে কাটা পড়েন সাকিব আল হাসান। ওভার পিচ ডেলিভারিতে প্যাভিলিয়নে ফেরার আগে সাকিবের কালেকশানে ৮ রান।
এরপর তাওহীদ হৃদয়ের ব্যাটে লড়াকু পুঁজির স্বপ্ন দেখতে থাকে টাইগার ফ্যানরা। তবে হতাশা হয়ে এলো আচমকা মাহমুদুল্লাহর ফেরা। গুড লেন্থের শর্ট বল পুল করতে গিয়ে ফিরে যান অন্যতম ভরসা।
এর ঠিক পরের বলেই কাটা পড়েন শেখ মাহাদী। কামিন্সের বলে আপার কাট খেললেন ঠিকই , তবে সীমানা পার করতে পারেন নি ধরা পড়লেন জাম্পার হাতে ডিপ থার্ডে।
তাওহীদ হৃদয় চেষ্টা করলেন। খানিক সফলও হলেন। শেষ ওভারের প্রথম বলে কামিন্সের স্লোয়ার ডেলিভারি স্কুপ করতে গেলেন ফাইন লেগে। ধরা পড়লেন হ্যাজেলউডের হাতে। কামিন্স তুলে নিলেন হ্যাট্রিক। টি টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ইতিহাসের সপ্তম হ্যাট্রিক দেখলো ক্রিকেট বিশ্ব। শেষমেশ টাইগারদের ১৪০ রানের ছোট সংগ্রহ।
ব্যাটিংয়ে নেমে টাইগার বোলারদের ওপর চড়াও হতে থাকে অজি দুই ওপেনার ট্রাভিস হেড ও ডেভিড ওয়ার্নার। পাওয়ার প্লেতে দুই ওপেনার তুলে নেন ৫৯ রান। এরপর ম্যাচে আবারও বাগড়া দেয় বৃষ্টি। খেলা বন্ধ থাকে মিনিট দশেক। টাইগার লেগি তুলে নেন দুই উইকেট।
ট্রাভিস হেডকে বোল্ড করে ফেরান রিশাদ। ৩১ রান করে থামেন এই অজি ওপেনার। এরপর মিচেল মার্শকে এলবির ফাঁদে ফেলে প্যাভিলিয়নের পথ দেখান রিশাদ।
ম্যাচ জেতানোর কাজটা যেন একাই নিয়ে নেন ডেভিড ওয়ার্নার। তুলে নেন ফিফটি। গ্লেন ম্যাক্সওয়েলও বেশ আগ্রাসী। আবারও বৃষ্টি বাগড়া দিলে ডিএলএস মেথডে ম্যাচ জিতে নেয় অজিরা।