তীব্র গরমের মধ্যে আবহাওয়া অধিদপ্তর ২০ এপ্রিল থেকে পরবর্তী ৩ দিনের তাপমাত্রার পূর্বাভাস দিয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ২০ এপ্রিল ময়মনসিংহ, সিলেট ও চট্টগ্রাম বিভাগের দু’এক জায়গায় অস্থায়ী দমকা/ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সাথে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলা বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।
রাজশাহী, পাবনা ও টাঙ্গাইল জেলাসহ খুলনা বিভাগের উপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ এবং চাঁদপুর ও মৌলভীবাজার জেলাসহ ঢাকা ও রাজশাহী বিভাগের অবশিষ্টাংশ এবং বরিশাল বিভাগের উপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপ প্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে। সারাদেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে। জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তি বাড়তে পারে।
২১ এপ্রিল ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের দু’এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা/ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি/ বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সাথে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলা বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। সারাদেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তি বিরাজ করতে পারে। ২২ এপ্রিলের আবহাওয়া অনেকটা অপরিবর্তিত থাকতে পারে বলেও পূর্বাভাসে জানানো হয়েছে।
খুলনা বিভাগের চুয়াডাঙ্গা জেলার সদর উপজেলার সুবদিয়া এলাকায় ১৯ এপ্রিল তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৪১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। চলতি বছরের এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ তাপমাত্রার রেকর্ড এটি। এমন পরিস্থিতিতে ১৯ এপ্রিল আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে পরবর্তী তিন দিনের জন্য দেশে তাপপ্রবাহের সতর্কতা জারি করা হয়েছে। সময়ভেদে এর মাত্রা কমবেশি হতে পারে।
দেশের উষ্ণতম মাস এপ্রিলে গড় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা থাকে ৩৩ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। কোনো এলাকার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি হলে তাকে তীব্র তাপপ্রবাহ বলে গণ্য করা হয়। তাপমাত্রা ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি হয়ে গেলে তখন তাকে অতি তীব্র তাপপ্রবাহ হিসেবে ধরা হয়। গত বছরের সর্বোচ্চ হিসেবে ১৭ এপ্রিল পাবনার ঈশ্বরদীতে তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিলো ৪৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
এমন পরিস্থিতিতে বেশি করে পানি পান করা, রঙিন কাপড় না পরা এবং লবণমিশ্রিত পানি পানের পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা।