ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর গুলিতে হাসান নামে এক বাংলাদেশি যুবক নিহত হয়েছেন।উপজেলার বায়েক ইউনিয়নের পুটিয়া সীমান্ত এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। নিহত হাসান ওই এলাকার দারু মিয়ার ছেলে।
নিহতের স্বজনরা জানান, হাসান বিভিন্ন সময় সীমান্তের ওপার থেকে চিনি চোরাচালানে শ্রমিকের কাজ করতেন। ২২ এপ্রিল সকালে সীমান্ত থেকে চিনি আনতে গেলে বিএসএফ গুলি চালায়।
প্রত্যক্ষদর্শী, পুলিশ ও বিজিবি সূত্রে জানা যায়, সকালে কসবার বায়েক ইউনিয়নের পুটিয়া এলাকায় ভারত সীমান্তের ২০৫০ পিলার এলাকায় শূন্যরেখায় যান মো. হাসানসহ কয়েকজন। এ সময় ৩ নম্বর গেট দিয়ে বের হয়ে এক বিএসএফ সদস্য এসে গুলি করেন। এতে হাসান গুলিবিদ্ধ হয়ে রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে লুটিয়ে পড়েন।
এ সময় মো. ইয়াছিন ও ইমন মিয়াসহ স্থানীয় কয়েকজন গুলিবিদ্ধ হাসানকে উদ্ধার করে কসবা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে এলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
খবর পেয়ে কসবা থানা-পুলিশ লাশ হেফাজতে নিয়ে ময়নাতদন্তের জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানোর উদ্যোগ নেয়।
নিহত হাসানের বাবা জারু মিয়া বলেন, তাঁর পাঁচ ছেলের মধ্যে সবার ছোট হাসান। আজ সকালে বন্ধুদের সঙ্গে ভারত সীমান্তে গিয়ে বিএসএফের গুলিতে তাঁর ছেলে মারা গেছেন। কিন্তু কী অপরাধে তাঁর ছেলেকে গুলি করে মারা হলো, তিনি তা জানেন না।
স্থানীয় সুলতানপুর ৬০ বিজিবির অধিনায়ক (সিও) জাবেদ বিন জব্বার প্রথম আলোকে বলেন, বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি তরুণ নিহত হওয়ার ঘটনায় বিএসএফকে বিষয়টি জানিয়ে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে তীব্র প্রতিবাদ জানানো হবে।