আন্দোলনকে সামনে রেখে দলকে সাংগঠনিকভাবে শক্তিশালী করতে চাচ্ছে বিএনপির হাইকমান্ড। তবে গেল আট বছরেও দলটির কোন কাউন্সিল হয়নি। সহসা হচ্ছে না বলেও আভাস পাওয়া যাচ্ছে। অবশ্য বিএনপি নেতারা চাইছেন, কাউন্সিলের মাধ্যমে নতুন নেতৃত্ব। তারা বলছেন, হাইকমান্ডের উচিত হবে কার্যকর আন্দোলনের লক্ষ্যে সম্মেলনের মধ্য দিয়ে যোগ্য নেতৃত্ব বের করা।
গত ২৮ অক্টোবরের পর থেকে ব্যাকফুটে চলে যায় বিএনপি। দ্বাদশ নির্বাচনের আগে দাবি আদায়ের লক্ষ্যে টানা আন্দোলন করেও সরকারকে টলাতে পারেনি দলটি।
এরপর থেকেই দলের মধ্যে প্রশ্ন উঠে নেতৃত্ব নিয়ে। কাউন্সিলের প্রতি জোর দেন দলের নেতারা।
তিন বছর পর পর গঠনতন্ত্র মোতাবেক কাউন্সিল হওয়ার কথা থাকলেও ২০১৬ সালে ৬ষ্ঠ সম্মেলনের পর আট বছর পেরিয়ে গেলেও দলটির পক্ষে আর কাউন্সিল সম্ভব হয়নি।
নতুন সম্মেলন হলে দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার দলে যুক্ত থাকবেন কিনা, সেই বিষয়টি সামনে। অন্যদিকে তারেক জিয়া বিদেশ থেকে দল চালাবেন, নাকি কাউকে দায়িত্ব দেবেন, সেটিও বড় প্রশ্ন।
তবে আবার আন্দোলনের লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করছে বিএনপি। আর তা কাযকর করতে হলে বর্তমান নেতৃত্ব দিয়ে কতটা সম্ভব? তা নিয়ে মতভেদ রয়েছে দলের নেতাদের মধ্যে।
এ বিষয়ে দলটির নেতারা নাগরিক টিভিকে বলেন, দলকে সাংগঠনিক ভাবে শক্তিশালী করতে হলে সম্মেলন করে যোগ্য নেতৃত্ব বের করা বিকল্প নাই।
দলটির আরেক সিনিয়র নেতাও মনে করেন, ব্যর্থ নেতৃত্ব দিয়ে আন্দোলন এগিয়ে নেয়া সম্ভব না।
বিএনপির দলীয় সূত্র বলছে, সহসা কাউন্সিল হবে কিনা তা নিয়ে সংশয় রয়েছে। যদিও ইতিমধ্যে দলটির বিভিন্ন অঙ্গ-সংগঠনগুলোতে রদবদল আনছে হাইকমান্ড।