গত রাতে কালবৈশাখী ঝড়ে বিভিন্ন স্থানে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। গাছপালা ভেঙে বন্ধ হয়ে যায় রাস্তাঘাট। শিলাবৃষ্টিতে ফসল ও ফল ফলাদির ক্ষতি হয়েছে অনেক জেলায়। আহত হয়েছে কয়েকজন। প্রতিনিধিদের পাঠানো তথ্য ও ছবিতে, আরও জানাচ্ছেন পিন্টু হাজং।
গত মধ্যরাতে মুন্সীগঞ্জ শহর ও তার আশপাশে ব্যাপক আকারে ঝড় শুরু হয়। আধা ঘন্টা মুষলধারে বৃষ্টি হয়। ঝড়ের সময় ব্যাপক শিলাও পড়ে। মৌসুমের প্রথম কালবৈশাখী ঝড়ে গাছপালা ভেঙে পড়ে বন্ধ হয়ে যায় রাস্তাঘাট।
এছাড়া মুন্সীগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির আওতাধীন মুন্সীগঞ্জ শহরসহ বিভিন্ন উপজেলায় বিদ্যুৎ লাইনেরও ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
হবিগঞ্জেও ব্যাপক শিলাবৃষ্টি হয়েছে। এতে করে ফসলের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। কৃষকরা জানিয়েছেন, দু’একদিনের মধ্যে যেসব জমির ধান কাটার কথা, সেসব জমির ধান শিলার আঘাতে নষ্ট হয়েছে।
হবিগঞ্জ কৃষি অধিদপ্তর জানায়, হবিগঞ্জ সদর ও বাহুবলে শিলাবৃষ্টিতে ফসলের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। তবে কী পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে, তা জানা যাবে আরও পরে।
টাঙ্গাইলে ৩৪ দিন পর ৯ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। মাসব্যাপী তীব্র গরম সহ্য করার পর বৃষ্টিতে পরিবেশ শীতল হওয়ায় স্বস্তি ফিরেছে জনজীবনে।
তিন জেলায় বজ্রপাতে চারজনের মৃত্যু হয়েছে। সোমবার (৬ মে) সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত বৃষ্টির সঙ্গে বজ্রপাতে শরীয়তপুরের দুই উপজেলায় দুইজন, সিলেটের কানাইঘাটে একজন ও নেত্রকোণার আটপাড়ায় একজনের মৃত্যু হয়।
আজও দেশের অনেক জেলায় বৃষ্টিপাত হয়েছে। আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, আগামী কয়েকদিনও বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।