২৩/০৫/২০২৫, ২১:০১ অপরাহ্ণ
28 C
Dhaka
২৩/০৫/২০২৫, ২১:০১ অপরাহ্ণ

খালেদা জিয়া লন্ডন যাচ্ছেন ৭ জানুয়ারি

আর্থ্রাইটিস, হৃদ্‌রোগ, ফুসফুস, লিভার, কিডনি, ডায়াবেটিসসহ নানা জটিলতায় ভুগছেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। অনেক দিন ধরেই দল ও পরিবারের পক্ষ থেকে তাকে বিদেশে নিয়ে চিকিৎসা করানোর দাবি করা হচ্ছে। কিন্তু আইনী জটিলতার কথা বলেই বিগত আওয়ামী লীগ সরকার প্রতিবারই বিএনপির সেই দাবি নাকচ করে দিয়েছে। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে এবার অসুস্থ খালেদা জিয়া চিকিৎসার জন্য বিদেশে যাচ্ছেন। বিষয়টি নিশ্চিত হয়েছে যমুনা টেলিভিশন।

কবে বিএনপি চেয়ারপারসন যাচ্ছেন এবং তিনি কোথায় চিকিৎসা নেবেন, স্বভাবতই আসে এমন প্রশ্ন। খালেদা জিয়ার সফরসঙ্গী চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ডক্টর এনামুল হক চৌধুরী জানিয়েছেন, ৭ জানুয়ারি লন্ডন যাচ্ছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। আপাতত সেখানেই চলবে চিকিৎসা।

জানা গেছে, কাতার এয়ারলাইন্সের একটি অ্যাম্বুলেন্সে খালেদা জিয়া লন্ডন যাবেন। সফরসঙ্গী হিসেবে থাকছেন ১৫জন। তাদের মধ্যে রয়েছেন পুত্রবধু শর্মিলা রহমান, সাত জন চিকিৎসক, দুই জন ব্যক্তিগত সচিব, দুইজন গৃহকর্মী, একজন নিরাপত্তা কর্মকর্তা ও দুইজন বিএনপি নেতা।

সফরের জন্য সবার ভিসাসংক্রান্ত কাজ এরইমধ্যে শেষ হয়েছে। লন্ডন থেকে আমেরিকা যাবার কথা থাকলেও আপাতত সেই পরিকল্পনাও বাদ দেয়া হয়েছে বলে সূত্র নিশ্চিত করেছে।

দলের অভ্যন্তরে আলোচনা রয়েছে, খালেদা জিয়া তার ছেলে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে সঙ্গে নিয়েই দেশে ফিরবেন।

এর আগে ২০১৭ সালের ১৬ জুলাই লন্ডন যাত্রা করে একাধিক মামলার পরোয়ানা মাথায় নিয়ে ওই বছরের ১৮ অক্টোবর দেশে ফেরেন খালেদা জিয়া। ওই সময় তিনি যুক্তরাজ্যের ডা. হ্যাডলি ব্যারির চিকিৎসা গ্রহণ করেন।

২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট সংক্রান্ত দুদকের মামলায় সাজাপ্রাপ্ত হয়ে কারাগারে যান বিএনপি চেয়ারপারসন। পরে ২০২০ সালের মার্চে তৎকালীন আওয়ামী সরকার নির্বাহী আদেশে শর্তসাপেক্ষে বেগম জিয়াকে সাময়িক মুক্তি দেয়। প্রতি ছয় মাস পরপর তার সাময়িক মুক্তির মেয়াদ বাড়ানো হয়। চলতি বছরের ৫ আগস্ট ক্ষমতার পটপরিবর্তন হলে পরদিন (৬ আগস্ট) বসুন্ধরার এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকা খালেদা জিয়ার স্থায়ী মুক্তির আদেশ দেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।

বিজ্ঞাপন

আরও পড়ুন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

বিশেষ প্রতিবেদন