গরুকে খাওয়ানো হচ্ছে কারখানার উচ্ছিষ্ট-পরিত্যক্ত তুলা। এতে অসাধু খামারিরা সাময়িকভাবে লাভবান হলেও, রয়েছে পশুর স্বাস্থ্যহানি ও মৃত্যুর ঝুঁকি। এই গরুর মাংস মানবদেহের জন্যও ক্ষতিকর হতে পারে। দীর্ঘদিন ধরেই এমন দশা গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলাজুড়ে।
গরুর সুষম খাবার হতে পারে ঘাস বা খড়। কিন্তু, অবাক করা ব্যাপার, গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় এই প্রাণীকে খাওয়ানো হচ্ছে কারখানার পরিত্যক্ত তুলা।
উপজেলায় সরকারি হিসাবে গবাদিপশু রয়েছে প্রায় দেড় লাখ। শিল্পায়নের ফলে কৃষিজমি কমছে। দেখা দিচ্ছে পশুর খাদ্যসংকট। এতে গো-খাদ্যের দাম বাড়তি। রয়েছে সচেতনতার অভাবও। এমন অবস্থায় দিন দিন গরুর খাবার হিসেবে তুলার ব্যবহার বাড়ছেই।
অনেকের ভ্রান্ত ধারণা, এই খাবারে গবাদিপশুর স্বাস্থ্য ভালো হয়। তবে, বাস্তবতা হলো, অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে ওঠা এসব গরু অসুস্থ হয়ে অনেক ক্ষেত্রেই মারা যায়।
এসব পরিত্যক্ত ক্ষতিকর তুলা কম দামে কিনে বেশি দামে বিক্রি করতে, মজুতও করেন অনেকে। সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলার প্রত্যেকটি ইউনিয়নের হাট-বাজার, পাড়া-মহল্লায় গড়ে উঠেছে অসংখ্য তুলার দোকান।
তবে, অসাধু খামারিরা এ বিষয়ে ক্যামেরার সামনে কথা বলতে রাজি নন। এদিকে, সচেতন খামারিরা জানালেন ঝুঁকির বিষয়গুলো।
এমন গো-খাদ্যের বিষয়ে প্রশাসন বলছে, ব্যবস্থা নেয়া হবে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, গো-খাদ্য হিসেবে তুলার ব্যবহার হলে, সেই গরুর মাংস মানবদেহের জন্যও ক্ষতিকর হতে পারে।