26 C
Dhaka
রবিবার, অক্টোবর ৬, ২০২৪
spot_imgspot_img

চীনের কাছে ৩৬ বিলিয়ন ইউয়ান ঋণ চায় বাংলাদেশ, মিলেছে সায়

ডলারের ওপর চাপ কমাতে বিকল্প মুদ্রার যোগান বাড়াতে চায় সরকার। এজন্য চীন থেকে ৩৬ বিলিয়ন ইউয়ান ঋণ চায় বাংলাদেশ, ডলারে যা প্রায় ৫ বিলিয়নের সমান। বাজেট সহায়তায় এ ঋণ নিয়ে নীতিগত সায় রয়েছে দুই দেশের। সরকারের নীতি নির্ধারকরা বলছেন, ডলারের ওপর চাপ কমাতে বড় বাণিজ্যিক অংশীদারগুলোর মুদ্রা বাড়াতে সরকার তৎপর। আর ব্যবসায়ীরা, চীনা ঋণের এ উদ্যোগকে স্মার্ট সিদ্ধান্ত বলে অ্যাখ্যা দিচ্ছেন।

২০২২ সালের পর থেকে টাকার অবমূল্যায়ন হচ্ছে। ফলে চাপ বাড়ছে বৈদেশিক মুদ্রার মজুতে। ৪৮ বিলিয়ন ডলারের মজুত এখন নেমে ২০ বিলিয়নের নীচে। সবশেষ এক লাফে সাত টাকা বাড়ানো হয়েছে প্রতি ডলারের দাম।

ডলারের ওপর চাপ কমাতে বড় অংশীদার দেশগুলোর সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক মুদ্রায় বাণিজ্যিক লেনদেন বাড়াতে সরকার উদ্যোগ নেয়। তবে তা খুব বেশি কার্যকর করা যায়নি। উদ্যোগের তালিকায় ভারতের রুপি ও চীনের ইউয়ান রয়েছে। এবার চীন থেকে ৩৬ বিলিয়ন ইউয়ান বাজেট সহায়তা চায় ঢাকা।

ঢাকা এ নিয়ে বেইজিংকে চিঠিও লেখে, সেখান থেকে পাওয়া গেছে সবুজ সংকেত। তবে ঋণ কোন খাতে খরচ হবে তা এখনো পর্যালোচনা করা হচ্ছে। একই সঙ্গে সুদ হার ও ফেরত দেয়ার মেয়াদকাল, এসব খুটিনাটি ঠিক করতে কাজ করছে বাংলাদেশ।

চীনের সঙ্গে, বাংলাদেশের বাণিজ্য প্রায় প্রায় ২৫ বিলিয়ন ডলার, যা মোট বিশ্ব বাণিজ্যের এক তৃতীয়াংশ। তবে, ২০২২ সালে ইউয়ানে বাণিজ্য বাড়ানোর উদ্যোগ নেয়া হলেও তা কার্কর করা যায়নি। ফলে ব্যবসায়িরা বলছেন, এ উদ্যোগ অর্থনীতির জন্য বড় সুফল আনবে।

তবে, সুদহার এক শতাংশের নীচে চায় সরকার। আর চীন ছাড়া ঋণের অর্থ দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যে অন্য দেশের সঙ্গেও ব্যবসা করতে চায় বাংলাদেশ। চীনা ঋণ ডলারে নিলে, তার খরচও কিছুটা বেশি হয়।

বর্তমানে চীনা ঋণের পরিমাণ হাজার কোটি ডলারের ওপরে। তবে প্রায় পুরো অর্থই প্রকল্প সহায়তা পাওয়া গেছে। বাংলাদেশের শীর্ষ ঋণদাতা দেশের তালিকায় জায়গা করে নিয়েছে চীন।

spot_img
spot_img

আরও পড়ুন

spot_img

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

বিশেষ প্রতিবেদন