সরকার পতনের পর শেয়ারবাজার ধ্বংসের পথে বড় থাবাটি ছিল বহু কোম্পানিকে জেড ক্যাটাগরিতে স্থানান্তর। পুঁজি হারানো দিশেহারা বিনিয়োগকারীদের অভিযোগ তাই কমিশনের ওপর। এ ইস্যুতে বিব্রত খোদ নিয়ন্ত্রক সংস্থা। তাই সমাধান খুঁজতে স্টক এক্সচেঞ্জ ও টাস্কফোর্সের প্রস্তাবের অপেক্ষায় বিএসইসি।
সরকার পতনের আগে পুঁজিবাজারে জেড ক্যাটাগরির কোম্পানির সংখ্যা ছিল ৫৭টি। বর্তমানে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯০টিতে। মাত্র ৪ মাসের ব্যবধানে ৩৩টি জেড বাড়লেও পুঁজি খুঁইয়েছেন বিনিয়োগকারীরা।
শেয়ারবাজারে জেড ক্যাটাগরি ইস্যুতে কারসাজির সুযোগ থাকে। তাই লেনদেনের ক্ষেত্রে কোন ক্যাটাগরি থাকা উচিত নয় বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।
কোম্পানির নন-কমপ্লায়েন্সের বলি হচ্ছেন বিনিয়োগকারীরা। তাই প্রতিষ্ঠানের অপরাধের দায় পরিচালনা পর্ষদের নেওয়া উচিত-এমনটা দাবি উঠলেও অনেক ক্ষেত্রে আবার স্টক এক্সচেঞ্জের অসহযোগিতা ও ক্ষোভের বলিও হচ্ছে কেউ কেউ।
এদিকে জেড ইস্যুতে বারংবার ক্ষতির মুখে পড়ছেন বিনিয়োগকারীরা। এক্ষেত্রে বিব্রত খোদ কমিশনও। কিন্তু বিষয়টি সমাধানের জন্য প্রয়োজন স্টক এক্সচেঞ্জ ও টাস্কফোর্সের প্রস্তাব-বলছেন মুখপাত্র।
জেড ক্যাটাগরি মানেই পঁচা শেয়ার বা ওয়েস্টেজ পেপার- অর্থ উপদেষ্টার এমন বক্তব্য কিংবা পানের থেকে চুন খসলেই জেডে পাঠিয়ে দিয়ে স্টক এক্সচেঞ্জের বাহাদুরী দেখানো কোনটিই চান না বিনিয়োগকারীরা। স্টক এক্সচেঞ্জ হবে বিনিয়োগকারীবান্ধব-এমনটি প্রত্যাশা ভুক্তভোগিদের।
এনএ/