যৌতুক দিতে না পারায় স্বামীর দেয়া আগুনে ঝলসে হাসপাতালে মৃত্যুর সাথে লড়ছেন পঞ্চগড়ের গৃহবধূ লতা বেগম। তার শরীরের পঞ্চাশ শতাংশই পুড়ে গেছে। অর্থকষ্টে কোন রকমে চলছে চিকিৎসা। এ ঘটনায় গ্রেপ্তার হয়েছেন স্বামী মহব্বত। জাকির হোসেনের রিপোর্ট। জানাচ্ছেন সিরাজুম মুনির শুভ।
৮ বছর আগে পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলার মহব্বত আলীর সাথে বিয়ে হয় লতা বেগমের। এই দম্পতির ঘরে তিন সন্তান। কিছুদিন আগে দ্বিতীয় বিয়ে করেন মহব্বত। তারপর শুরু হয় যৌতুক ও তালাকের জন্য লতার উপর নির্যাতন। এক পর্যায়ে লতার শরীরে ডিজেল ঢেলে আগুন দেয় মহব্বত।
ঘরে থাকলেও ছেলের বউকে বাঁচাতে এগিয়ে যাননি মহব্বতের মা-বাবা। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেয়। এ ঘটনায় মামলা হয়েছে। কঠিন শাস্তির দাবি স্বজনদের।
গ্রেপ্তার হয়েছে পাষন্ড স্বামী। জড়িতদের কেউ ছাড় পাবে না, জানিয়েছে পুলিশ।
লতার চিকিৎসায় সবধরণের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন চিকিৎসকরা। তবে অর্থনৈতিক অবস্থা খারাপ হওয়ায় চিকিৎসার জন্য প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন স্বজনরা।