ঢাকায় যানজট একটা বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। দিন যত যায় এই শহরের যানজট যেন ততই বৃদ্ধি পায়। নানা চেষ্টা ও পদক্ষেপেও যানজট নিরসন করতে পারছে না সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যানজট সৃষ্টি হওয়ার পেছনে পথচারী ও গাড়িচালকদের অসচেতনতাই সবচেয়ে বেশি দায়ী।
প্রায় অর্ধকোটি মানুষের বসবাস উপযোগী ঢাকার মোট জনসংখ্যা প্রায় ২ কোটি। জনসংখ্যার এই বাড়তি চাপসহ নানা কারণে বেহাল এই রাজধানী শহর। নিয়মিত গাড়ি বাড়লেও, রাস্তার সংখ্যা আগের মতোই। এসব রাস্তা আবার অধিকাংশই বেদখলে সংকীর্ণ। নেই পার্কিংয়ের যথেষ্ট জায়গা। ফলে সৃষ্টি হচ্ছে যানজট।
বিশ্বে অচল শীর্ষ ১০টি নগরীর মধ্যে রাজধানী ঢাকা অনেক আগেই ঠাঁই করে নিয়েছে। সড়কের তুলনায় রাজধানীতে গাড়ি অনেক বেশি। যেখানে ঢাকার মোট সড়কের পরিমাণ দরকার ছিল আয়তনের প্রায় ২৫ শতাংশ সেখানে সেটি আছে মাত্র ১০ শতাংশ।
রাজধানীর প্রগতি সরণিতে যানজট এমনিতেই একটু বেশি। উপরন্তু নতুন মেগা প্রকল্প এম আরটি ১ এর কাজ শুরু হয়েছে সম্প্রতি। যে কারণে সরু হয়েছে মূল সড়ক। এই সড়কে নেই নির্দিষ্ট বাস বে। যত্রতত্র যাত্রী উঠানামার কারণে বেড়েছে ভোগান্তি। কিন্তু এর জন্য দায়ী কে?
যানজট নিরসনে নানা কার্যকরী পদক্ষেপ নিচ্ছে, দাবি ডিএমপি ট্রাফিক বিভাগের।
গবেষণায় দেখা গেছে, রাজধানীর গাড়ির গড় গতি গত ১২ বছরে ২১ কিলোমিটার থেকে নেমে এসেছে পাঁচ কিলোমিটারে, যেন হেঁটে চলছে রাজধানী। এমন পরিস্থিতিতে কর্তৃপক্ষের পাশাপাশি চালক ও যাত্রীদের সচেতনতার তাগিদ নগরবিদদের।
জটের শহরে জাদুর মেট্রোরেল চালুর মাধ্যমে কিছুটা স্বস্তির আভাস ঢাকাবাসী পেলেও পূর্ণাঙ্গ জট নিরসনের আর কতদিন সময় লাগবে, মুক্তি মিলবে কবে? সেটিও এখন প্রশ্ন।