আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চীফ প্রসিকিউটর হিসেবে আইনজীবী তাজুল ইসলামের নিয়োগ কে অন্তর্বর্তী সরকারের ভয়ানক সিদ্ধান্ত বলে আখ্যায়িত করছেন ইংরেজ সাংবাদিক ডেভিড বার্গম্যান। এ নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবীদের মধ্যেও। তবে নিয়োগ ইস্যুতে কথা বলতে নারাজ নব নির্বাচিত চীফ প্রসিকিউটর।
তাজুল ইসলাম। ছিলেন এবি পার্টির যুগ্ম আহবায়ক ও জামায়াতে নেতা দেলোয়ার হোসেন সাঈদীর আইনজীবী। তবে শেখ হাসিনা সরকারের পদত্যাগের পর গত ৭ সেপ্টম্বর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চীফ প্রসিকিউটর হিসেবে নিয়োগ পান তিনি। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম সহ দেশে-বিদেশে চলছে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা।
তার এই নিয়োগকে প্রতিশোধ কল্পনার অংশ বলে মনে করেন ব্রিটিশ মানবাধিকার কর্মী ও সাংবাদিক ডেবিট বার্গম্যান। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে পোস্ট করে তিনি জানান,অন্তবর্তী সরকারের প্রধান সহ দুজন উপদেষ্টা যেখানে বিগত সরকারের ট্রাইব্যুনাল দলীয় করনের শিকার সেখানে এমন নিয়োগ বিভ্রান্তিকর।
তবে শুধু এই বিদেশি নয় চীফ প্রসিকিউটর নিয়োগের পক্ষে বিপক্ষে সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবীদের রয়েছে নানা মতামত। কারো অবস্থান যেমন ট্রাইব্যুনাল দলীয়করণের বিপক্ষে।কেউ আবার বলছেন দলীয় পদ থেকে সরে দাঁড়ানোয় তাজুল বাঁধা নেই বিচারকার্য পরিচালনায়।
অতীতের ক্ষমতাসীনদের ন্যায় আবারো কি কুক্ষিগত হবে অপরাধ ট্রাইব্যুনাল নাকী দল মতের ঊর্ধ্বে থেকে ন্যায়বিচার মিলবে সবার তা হয়ত সময় বলে দিবে।