27.3 C
Dhaka
মঙ্গলবার, এপ্রিল ২২, ২০২৫

নাটোরে চাঁদাবাজির মামলায় গ্রেপ্তার ৮ জনের মুক্তির দাবীতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ-সমাবেশ

চাঁদাবাজির মামলায় নাটোরের গুরুদাসপুরে একটি মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদকসহ আটজনকে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদ ও মুক্তির দাবিতে মানববন্ধন, বিক্ষোভ এবং পথসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বুধবার (১৬ এপ্রিল) সকাল ১০টায় সংশ্লিষ্ট মাদ্রাসার সামনে মানববন্ধন শেষে বিক্ষোভ মিছিলসহ থানা মোড়ে প্রতিবাদ সমাবেশ করেন ওলামায়ে কেরামগণ।

আয়োজক সুত্র জানায়, মঙ্গলবার বিকেলে উপজেলার সিধুলী-পোয়ালশুড়া-চলনালী গ্রামের হযরত ওসমান গণি (রাঃ) ক্বওমি ও হাফেজিয়া মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের জন্য রশিদের মাধ্যমে অর্থ আদায়ের অভিযোগে তাদেরকে থানায় ডেকে নিয়ে আসেন সেনা সদস্যরা। তারপর তাদের নামে চাঁদাবাজির মামলা দিয়ে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের মুক্তির দাবীতে সংশ্লিষ্ট কয়েক গ্রামের ধর্মপ্রাণ মুসল্লী ও শিক্ষার্থীরা মানববন্ধন শেষে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে ৩ কি.মি. পথ পায়ে হেঁটে থানার সামনে পথসভায় মিলিত হন।

সিধুলী মাদ্রাসার এলাকার যুব সমাজের উদ্যোগে ওই মানববন্ধন, বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয় হয়। মাদ্রাসা কমিটির পক্ষে শিক্ষানবীশ আইনজীবি জার্জিস আহম্মেদের সভাপতিত্বে বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন হেফাজতে ইসলামের নাটোর জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক মাও. রফিকুল ইসলাম, উপজেলা কমিটির সভাপতি মুফতি আব্দুল আহাদ ও সদস্য সচিব ফরিদুল ইসলাম, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন নাটোর জেলা কমিটির যুগ্ম মুকিত আহম্মেদ ও সদস্য সচিব সামিউল ইসলাম রাব্বি, ইসলামী আন্দোলন গুরুদাসপুর শাখার সভাপতি মাও.ওমর ফারুক প্রমূখ।

বক্তারা বলেন, সিধুলী মাদ্রাসা সংলগ্ন বাজারে রশিদ দিয়ে টাকা সংগ্রহ করত মাদ্রাসার কর্তৃপক্ষ। সেই টাকাও খেতে চান একটি দলের নেতা। এরা ফ্যাসিবাদের চাইতেও বড় ফ্যাসিবাদ। গ্রেপ্তারকৃতদের ২৪ ঘন্টার মধ্যে মুক্তি না দিলে বৃহত্তর আন্দোলনের হুশিয়ারী দেন তারা।

গুরুদাসপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. গোলাম সারওয়ার হোসেন বলেন, ধারাবারিষা ইউনিয়ন ছাত্রদলের সভাপতি রুবেল আহম্মেদ চাঁদাবাজির অভিযোগ এনে গত মঙ্গলবার আটজনের নাম উল্লেখ করে মামলা করেন। মামলায় আরো ১০/১৫ জনকে অজ্ঞাত আসামী করা হয়েছে।

পড়ুন: নাটোরে র‍্যাব পরিচয়ে অপহরণের ১২ বছরেও উদ্ধার হয়নি পাঁচ যুবক

দেখুন: কথা না শোনায় রিক্সা চালকের সঙ্গে পুলিশের এ কেমন আচরণ

ইম/

বিজ্ঞাপন

আরও পড়ুন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

বিশেষ প্রতিবেদন