যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কের কুইন্সে আগামী ১৯ ও ২০ অক্টোবর লালন পরিষদের আয়োজনে হতে যাচ্ছে দ্বিতীয় আন্তর্জাতিক লালন ও লোক উৎসব। বাংলাদেশি-অধ্যুষিত জ্যামাইকার নন্দন কানন নামে পরিচিত পারফর্মিং আর্ট সেন্টারে দ্বিতীয়বারের মতো হতে যাচ্ছে এই উৎসব।
শনিবার (৮ জুন) জাতীয় প্রেস ক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে লালন পরিষদ ইউএসএ আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়। এর আগে ২০২২ সালেও একই ভ্যানুতে এই উৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছিল।
লালন উৎসবে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী নাহিদ ইজহার খান। লালন উৎসবের মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করবেন লালন গবেষক কুষ্টিয়া ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. সেলিম তোহা। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন দৈনিক ভোরের কাগজের সম্পাদক ও জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শ্যামল দত্ত। লালন উৎসবকে মাতিয়ে তুলতে বাংলাদেশ থেকে আরও যাচ্ছেন লালন সম্রাজ্ঞী ফরিদা পারভিন, আন্তর্জাতিক বংশীবাদক গাজী আব্দুল হাকিম, লালন গবেষক দেবোরা জান্নাত, রাখি শবনম, বিখ্যাত বাউল শিল্পী কালা মিয়া ও জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী সুলতানা ইয়াসমিন লায়লা।
সংবাদ সম্মেলনে লালন পরিষদ ইউএসএ নিউইয়র্কের প্রধান উপদেষ্টা নুরুল আমীন বাবু জানান, গত বছরের উৎসবে দুই বাংলার বাংলা ভাষাভাষী প্রবাসীরা ও নতুন প্রজন্মের অংশগ্রহণ ছিল চোখে পড়ার মতো। সেই লক্ষ্যে আমরা দ্বিবার্ষিক লালন উৎসবের আয়োজন করেছেন। লালন উৎসবকে ঘিরে উত্তর আমেরিকাসহ নিউইয়র্কে ইতোমধ্যেই ব্যাপক সাড়া পড়েছে।
লালন উৎসবের পাশাপাশি তারা আরও তিনটি উৎসব করছেন, যা নিউ ইয়র্কসহ উত্তর আমেরিকার সব জায়গায় ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। এর মধ্যে রবীন্দ্র উৎসব, সুচিত্রা সেন আন্তর্জাতিক বাংলা চলচ্চিত্র উৎসব ও জ্যোৎস্না উৎসব প্রবাসে বাংলা সংস্কৃতির চর্চা ও বিকাশে বিরাট ভূমিকা রাখছে বলে মনে করেন তিনি।
নিউ ইয়র্কে লালন উৎসব আয়োজনের আহ্বায়ক হিসেবে আছেন আব্দুল হামিদ। সমন্বয়কারী ও সহযোগী হিসেবে আছেন স্বীকৃতি বড়ুয়া, গোপাল স্যান্ন্যাল, হাসানুজ্জামান সাকি ও সুখেন জোসেফ গোমেজ, জাহেদ শরীফ, পিনাকী তালুকদার, শুভ রায় ও সাহানা ভট্টাচার্য। বাংলাদেশ থেকে অনুষ্ঠানের সমন্বয়কারী উষ্ণীষ চক্রবর্তী।