26.8 C
Dhaka
বৃহস্পতিবার, মার্চ ২৭, ২০২৫

নেত্রকোনায় পাহারাদারকে হত্যা করে ৭ গরুর লুটে জড়িত যুবদলের সদস্য সচিবসহ গ্রেপ্তার-৩

নেত্রকোনার দুর্গাপুর উপজেরায় গরুর খামারের পাহারাদার মো. জয়নাল মিয়াকে (৬৫) হত্যা করে সাতটি গরু লুটে নেওয়ার ঘটনা তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এরমধ্যে গ্রেপ্তার এক আসামি আদালতে ১৬৪ ধারা স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।

মঙ্গলবার (১১ মার্চ) বেলা সােড়ে ১১টার দিকেজেলা পুলিশ সুপারের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার মির্জা সায়েম মাহমুদ সাংবাদিকদের তথ্য জানান।

এ সময় পুলিশ সুপার পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের (প্রশাসন) দায়িত্বে থাকা সাহেব আলী পাঠান, সরকারী পুলিশ সুপার (দুর্গাপুর সার্কেল) আল-ইমরানুল আলম, দুর্গাপুর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহমুদুল হাসান, জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ওসি (পূর্ব) সাইদুর রহমান, ওসি (পশ্চিম) আরমান আলীসহ পুলিশের উধ্বর্তন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

গ্রেপ্তার হওয়া আসামিরা হলেন, উপজেলা দুর্গাশ্রম রামবাড়ি গ্রামে শাহাব উদ্দিনের ছেলে দোলন মিয়া (২৮), শুকনাকুড়ি রামবাড়ি এলাকার মহর আলীর ছেলে আবদুল মান্নান (৪২) এবং একই গ্রামের আবদুল কাদেরের ছেলে ও কাকৈরগড়া ইউনিয়নের যুবদলের সদস্য সচিব আবদুল আউয়াল (৩২)।

নিহত জয়নাল মিয়া ‍দুর্গাপুর উপজেলার পুকুরিয়াকান্দা গ্রামের বাসিন্দা। তিনি (জয়নাল) গত দুই মাস ধরে স্থানীয় হাবিবুল্লাহর গরুর খামারে পাহারাদার হিসেবে কাজ করতেন। সেখানে আরও দুজন কর্মচারী কাজ করেন।

গত বুধবার রাত ১১টার দিকে হেলাল নামের একজন পাহারাদার দিনের দায়িত্ব শেষ করে জয়নালকে রাতের দায়িত্ব বুঝিয়ে দিয়ে বাড়ি চলে যান। পরদিন বৃহস্পতিবার সকালে হেলাল কাজে ফিরে জয়নালের কাছ থেকে দায়িত্ব বুঝে নিতে গেলে ঘরের খুঁটির সঙ্গে জয়নালের হাত-পা ও মুখ বাঁধা অবস্থায় মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখতে পান।

নেত্রকোনায় এ ঘটনায় গত বৃহস্পতিবার রাতে নিহতের ছেলে জালাল উদ্দিন বাদী হয়ে হত্যা ও ডাকাতির মামলা করেন।

মামলায় আটজনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়। এরপর পুলিশ গত সোমবার সকালে ঘটনায় জড়িত অভিযোগে দোলল মিয়াকে নিজ বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করে। পরে তার দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে ওই দিন বিকেলে আবদুল মান্নান ও আবদুল আউয়ালকে গ্রেপ্তার করে।

পড়ুন : নেত্রকোনায় ধনু নদ থেকে তিন মাছ শিকারীর লাশ উদ্ধার

দেখুন : নেত্রকোণায় জমি বিক্রি করে ঘোড়া কিনেছেন বাদশা |

ইম/

বিজ্ঞাপন

আরও পড়ুন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

বিশেষ প্রতিবেদন