প্রিন্স রাহিম আগা খান পঞ্চম ও তার পরিবার আজ মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) তার অভিষেক অনুষ্ঠানে বিশ্বব্যাপী শিয়া ইসমাইলি মুসলিম সম্প্রদায়ের নেতাদের স্বাগত জানিয়েছেন। এ অনুষ্ঠানটি পর্তুগালের লিসবনের দিওয়ান অব দ্য ইসমাইলি ইমামাতে অনুষ্ঠিত হয়।
ইসমাইলি সম্প্রদায়ের নেতারা ৫০তম উত্তরাধিকারী ইমামের প্রতি বিশ্বব্যাপী ইসমাইলি সম্প্রদায়ের পক্ষ থেকে আধ্যাত্মিক আনুগত্যের শপথ নেন। বিশ্বের ৩৫টিরও বেশি দেশে ইসমাইলি সম্প্রদায়ের সদস্যরা তাদের জামাতখানায় সরাসরি সম্প্রচারের মাধ্যমে অনুষ্ঠানটি দেখেন।
তার ভাষণে আগা খান পঞ্চম তার প্রয়াত পিতা প্রিন্স করিম আখা খান চতুর্থকে শ্রদ্ধা জানান এবং তার পরিবারের সদস্যদের উপস্থিতি ও সমর্থনের জন্য ধন্যবাদ জানান। তিনি পর্তুগাল ও মিসরের সরকারগুলোর প্রতি তার পিতার অবদানকে স্বীকৃতি দেয়ার এবং তার অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া ও কবরস্থানের মর্যাদাপূর্ণ ব্যবস্থাপনার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
এটি ছিল আগা খান পঞ্চমের জন্য আন্তর্জাতিক ইসমাইলি সম্প্রদায়ের কাছে প্রথম ভাষণ। তার প্রথম ভাষণে তিনি তার জীবনকে ইসমাইলি জামাতের আধ্যাত্মিক ও শারীরিক কল্যাণের জন্য নিবেদিত করার প্রতিশ্রুতি দেন।
ভাষণে তিনি ইসমাইলি মুসলিম বিশ্বাসের নীতি, দুনিয়া ও আধ্যাত্মিক বিষয়ের মধ্যে সঠিক সমতা বজায় রাখার গুরুত্ব এবং ধর্মীয় অনুশীলনের নিয়মিত অনুশীলনের কথা তুলে ধরেন। তার বার্তায় শান্তি, সহিষ্ণুতা, অন্তর্ভুক্তি এবং অভাবী মানুষদের সাহায্য করার মতো বৈশ্বিক ধারণাগুলোর গুরুত্ব প্রকাশিত হয়।
তার প্রথম ভাষণে আগা খান পঞ্চম বলেন, তার সম্প্রদায় যাতে তারা বসবাসরত দেশগুলিতে দায়িত্বশীল ও সক্রিয় নাগরিক হয় এবং জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় উদাহরণ স্থাপন করতে উদ্বুদ্ধ করেন।
আগা খান ডেভেলপমেন্ট নেটওয়ার্কের কাজের সঙ্গে দীর্ঘ সময় ধরে যুক্ত ছিল। তার পর প্রিন্স রাহিম আগা খান স্থিতিশীলতা ও ধারাবাহিকতা বজায় রাখা এবং পরিবর্তনের জন্য একটি সঠিক গতি নির্ধারণের প্রতিশ্রুতি দেন।
তিনি আরও প্রতিশ্রুতি দেন, তার বাবার মতো, সরকার এবং অংশীদারদের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ ও গঠনমূলক সম্পর্ক বজায় রাখা এবং শান্তি, স্থিতিশীলতা ও সুযোগের জন্য তাদের সঙ্গে নিবিড়ভাবে কাজ করবেন।
এনএ/