29.5 C
Dhaka
বুধবার, মার্চ ২৬, ২০২৫

ফাঁসি হতে পারে আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতৃত্বের

অপরাধ প্রমানিত হলে ফাঁসি হতে পারে আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতৃত্বের। সময়ের পরিক্রমায় নিজেদের করা আইনে ফেসে যাচ্ছে নিজেরা। ২০১০ সালের মার্চে মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারের লক্ষ্যে ট্রাইব্যুনাল গঠন হওয়ার পর এই আইনে বিভিন্ন সময়ে জামায়াতে ইসলামী ও বিএনপির শীর্ষ কয়েকজন নেতার ফাঁসির আদেশ ও তা কার্যকর হয়।

১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারের জন্য ২০১০ সালে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল গঠন করেছিলো তৎকালীন সরকার। সেই সময় জামায়াতের শীর্ষ নেতৃত্বসহ বিএনপির সালাউদ্দিন কাদেরকে ফাঁস দেয় ট্রাইবুনাল। সময়ের পরিক্রমায় তৎকালীন সরকারের তৈরি আইনেই বিচার হচ্ছে নিজেদের।

এরই মধ্যে ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থার প্রাথমিক তদন্তের পরিপ্রেক্ষিতে আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, দলটির সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, কয়েকজন সাবেক মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী, পুলিশের কয়েকজন সাবেক শীর্ষ কর্মকর্তাসহ ৪৬ জনের বিরুদ্ধে গত ১৭ অক্টোবর গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির মাধ্যমে বিচারের প্রাথমিক প্রক্রিয়া শুরু হয়।

গণহত্যাসহ মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িত থাকার অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আগামী এক মাসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করতে নির্দেশ দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। একই ধরনের অভিযোগে ওবায়দুল কাদেরসহ বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের মন্ত্রী–সংসদ সদস্যসহ প্রভাবশালী ৪৫ জনের ক্ষেত্রে পৃথক তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থাকে নির্দেশ দিয়েছে।

সব অপরাধের কেন্দ্রে শেখ হাসিনা, মন্ত্রী-এমপিরা ছিলেন সহযোগী

তদন্ত সংস্থার কাছ থেকে প্রতিবেদন পাওয়ার পর শেখ হাসিনাসহ ৪৬ জনের বিরুদ্ধে করা পৃথক মামলার বিচার আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হবে। আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে গণ–অভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের সবচেয়ে বড় দায় শেখ হাসিনার বলেও জানান চিফ প্রসিকিউটর।

আসামিদের বিষয়ে চিফ প্রসিকিউটর ট্রাইব্যুনালকে বলেন, গণ–অভ্যুত্থানের সময় হত্যাকাণ্ড সংঘটনের নির্দেশ দিয়েছিলেন তাঁরা। হত্যাকাণ্ডের পরিকল্পনার সঙ্গেও তাঁরা জড়িত ছিলেন। সুপিরিয়র কমান্ড রেসপনসিবিলিটি’র দায়ে তাঁরা অভিযুক্ত। অপরাধ প্রতিরোধ করার ক্ষমতা থাকা সত্ত্বেও তাঁরা সেটি করেননি। জুলাই–আগস্টে সংঘটিত সব ধরনের অপরাধের দায় তাঁদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে আছে।

গত ১ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় সারা দেশে গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটনের অসংখ্য অভিযোগ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটরের কার্যালয় ও তদন্ত সংস্থার কাছে জমা হয়েছে বলেও জানান আইনজীবীরা।

অপরাধ প্রমানিত হলে আওয়ামী লীগ শীরষ নেতৃত্বের কি ফাঁসির হতে পারে? আইনজীবারা বলছেন, ২০১০ জামায়াত ইসলামের শীর্ষ নেতৃত্বের ফাসি হয়েছিলো। সেক্ষেত্রে অপরাধ প্রমান হলে সর্বোচ্চ শাস্তি হতে পারে আওয়ামী লীগ প্রধানের।

এছাড়া ফাঁসির দণ্ড ভোগ করতে পারেন সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, সাবেক সমাজকল্যাণমন্ত্রী ও ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন, সাবেক তথ্যমন্ত্রী ও জাসদের সভাপতি হাসানুল হক ইনু, সাবেক বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী মুহাম্মদ ফারুক খান, সাবেক নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান, সাবেক শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি, সাবেক পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী, সাবেক তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্‌মেদ ও সাবেক শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার, সাবেক কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক এছাড়া  সাবেক প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান ও তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী এবং অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক।

এনএ/

দেখুন: রিমান্ডে কেন কাঁদছেন পলক? আনিসুল, সালমান ফাঁসি করলেন
বিজ্ঞাপন

আরও পড়ুন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

বিশেষ প্রতিবেদন