বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে ১৬০০ মিটার দৌড়ালেন জাতীয় দলের ক্রিকেটাররা। ৩ মে বাংলাদেশের মাটিতে শুরু হতে যাওয়া বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ের ৫ ম্যাচের টি-টুয়েন্টি সিরিজের আগে প্রস্তুতির প্রথম পর্ব ছিল এটি। দল ঘোষণার আগে ক্রিকেটারদের ফিটনেস পরখ করে রাখলেন টিম ম্যানেজমেন্ট। এই ম্যারাথন বিশ্বকাপের মত বড় মঞ্চে কাজে লাগবে বলে বিশ্বাস বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড- বিসিবির।
২০০৫ সালের জানুয়ারির পর বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়াম ছেড়ে দিয়ে মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামকে ক্রিকেটের হোম গ্রাউন্ড হিসেবে বেছে নিয় বিসিবি। ১৯ বছর পর সেই বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে রানিং টেস্টের জন্য জড়ো হন ক্রিকেটাররা।
আর্মি স্টেডিয়াম এবং বিকেএসপিতে অ্যাথলেটিক্স ট্র্যাক থাকলেও বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামের নবনির্মিত অ্যাথলেটিক্স ট্র্যাককেই বেছে নিয়েছে বিসিবি। প্রচণ্ড খরতাপে স্বাভাবিক রানিং যাতে বাধাগ্রস্থ না হয়, সেজন্য সকাল ৬টা থেকে ৭টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত রানিং টেস্ট করেন ক্রিকেটাররা। ক্রিকেটারদের এই পরিশ্রম বিশ্বকাপে কাজে লাগবে বলে বিশ্বাস করেন বিসিবির ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের সহকারী ম্যানেজার শাহরিয়ার নাফিস। দেড় যুগের বেশি সময়ের পর বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে গিয়ে এর সঙ্গে জুড়ে থাকা শত স্মৃতির কথাও জানিয়েছেন সাবেক অধিনায়ক শাহরিয়ার নাফিস।
এই ফিজিক্যাল পারফরম্যান্স অ্যাসেসমেন্টে যদিও অংশ নেননি তামিম ইকবাল, তাসকিন আহমেদ, সৌম্য সরকার এবং আরো কয়েকজন ক্রিকেটার। সাকিব বর্তমানে দেশের বাইরে আছেন। তাসকিন ডিপিএলে টানা ম্যাচ খেলায় বাড়তি ঝুঁকি নেননি। তাছাড়া চোটের কারণে ছিলেন না সৌম্য সরকার।