বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে আবারও কূটনৈতিক উত্তেজনা বৃদ্ধি পেয়েছে। দুই দেশেই পাল্টাপাল্টি তলব করেছে রাষ্ট্রদূতদের। বাংলদেশের অভিযোগের পাল্টা জবাব দিয়েছে ভারত। এদিকে শোনা যাচ্ছে ট্রাম্পের সঙ্গে মোদির বৈঠকে উঠতে পারে বাংলাদেশ প্রসঙ্গ।
পতনের ১৮০ দিনের মাথায় সামাজিক মাধ্যমে ভাষণ দেন শেখ হাসিনা। প্রতিক্রিয়ায় ধানমন্ডি ৩২ নম্বর শেখ মুজিবুর রহমানের বাড়ি ধ্বংস এবং বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে বাড়িঘরে আগুন দেয় ছাত্র জনতা।
ভারতে বসে হাসিনার বক্তব্যকে বানোয়াট ও উস্কানিমূলক অভিহিত করে বাংলাদেশ আনুষ্ঠানিক প্রতিবাদ জানিয়েছে। এছাড়া তলব করা হয় ভারতের ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনারকেও।
জবাবে নয়াদিল্লিতেও বাংলাদেশের ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনারকে তলব করা হয়। প্রতিক্রিয়ায় নয়াদিল্লিতে বাংলাদেশের ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনারকে তলব করে ভারত জানায় শেখ হাসিনার মন্তব্যগুলো তাঁর ব্যক্তিগত অবস্থান থেকে দেওয়া, তাতে ভারতের কোনো ভূমিকা নেই।
এদিকে ১২ থেকে ১৩ ফেব্রুয়ারি ওয়াশিংটন সফর করবেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এই সফরে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বৈঠকে বাংলাদেশ প্রসঙ্গ উঠতে পারে বলে জানিয়েছেন ভারতের পররাষ্ট্রসচিব বিক্রম মিশ্রি।
পতিত স্বৈরশাসক হাসিনার প্রতি ভারতের নিরবচ্ছিন্ন এবং অটল সমর্থন নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে ভারতের গণমাধ্যমেও। বলা হচ্ছে, যেখানে চীন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশ নিয়ে বাস্তববাদী সেখানে ভারত আবেগী আচরণ করছে। দেশটিতে থাকা আরেক নির্বাসিত রাজনৈতিক নেতা দালাই লামার মতো গ্রহণযোগ্য কেউ নন শেখ হাসিনা।
আমি এ মুহূর্তে আগে থেকে পূর্বাভাস দিতে পারি না। তবে সেখানে আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে এবং আমার ধারণা, যেসব বিষয় আলোচনায় আসতে পারে, সেগুলোর অন্যতম একটি বাংলাদেশ প্রসঙ্গ।
এনএ/