35 C
Dhaka
রবিবার, মার্চ ১৬, ২০২৫

বিয়ারিং গাড়ি নিয়েই কাশেমের জীবন সংগ্রাম

একটি পা নেই। বিয়ারিং গাড়ি বানিয়ে বিভিন্ন স্থানে ইট ভেঙে সংসার চালায় প্রতিবন্ধী আবুল কাশেম(৪৭)। জন্মের কয়েক মাসের মধ্যে অগ্নিকান্ডের দুর্ঘটনায় তার ডান পা পুড়ে যায়। এরপর শত চেষ্টায়ও পঙ্গুত্ব থেকে রক্ষা পাননি তিনি। তবুও থেমে নেই তার জীবন। বেয়ারিং গাড়ি ও দুটি হাতের সাহায্য নিয়ে চলছে তার জীবন-জীবিকা। স্থানীয় ও পরিবারের স্বজনেরা বলছেন সরকারি সহযোগিতার কথা।

ঠাকুরগাঁও পীরগঞ্জ উপজেলার পৌর শহরের ভেলাতৈড় এলাকার বাসিন্দা আবুল কাশেম। জন্ম হয়েছেন ১৯৭৮ সালে। জন্মের কিছুদিনের মধ্যে আগ্নিকান্ড ঘটনার স্বীকার হয় কাশেম। এরপর তার ডান পা আগুনে পুড়ে গেলে চিন্তায় পড়ে যায় পরিবার। শত চেষ্টায়ও ভালো হতে পাড়েনি কাশেম। পঙ্গুত্ব নিয়েই দীর্ঘদিন ছেলেকে যত্ন করে রাখার পরে অবশেষে বিয়ে দেয়া হয় কাশেমকে। এরপর থেকে নিজের ও নিজের স্ত্রীর কথা ভেবে কাজের সন্ধানে বেরিয়ে পড়েন কাশেম। পঙ্গুত্ব নিয়েই জীবিকার তাগিদে কাজের সন্ধানে বিভিন্ন প্রান্তে ছুটে বেড়ায় কাশেম। ২০১১ সাল থেকেই ইট ভাঙ্গার কাজে লেগে যায় কাশেম।

বিয়ারিং গাড়ি নিয়েই কাশেমের জীবন সংগ্রাম

কাশেমের পঙ্গুত্বের সাথে তার জীবন যুদ্ধে সঙ্গি ছিলেন তার একমাত্র বিয়ারিং গাড়ি। প্রতিদিন সকালে এই বিয়ারিং গাড়িতে বসে দু্ই হাতের সাহায্যে ছুটে বেড়ায় পুরো শহর। খুজে বেড়ান কাজের সন্ধান। মাঝে মধ্যেই ইট ভাঙ্গার কাজ পান কাশেম। দিন হাজিরা পান ৪শ থেকে ৫শ টাকা। বর্তমানে কাশেমের পরিবার রয়েছে তার স্ত্রী ও তিন সন্তান। যাদের পড়াশুনাও করাচ্ছেন কাশেম।

কাশেমের পরিবারের স্বজনেরা বলেন,জন্মের কিছুদিনের মাথায় আগুনে পুড়ে যায় কাশের ডান পা। এরপর অর্থের অভাবে সঠিক চিকিৎসা করানো সম্ভব হয়নি। তবে এই পঙ্গুত্ব নিয়ে হার মানেননি কাশেম। দীর্ঘ ২২ বছর ধরেই এই পঙ্গুত্বকে শক্তি ভেবে করে যাচ্চেন জীবনযুদ্ধ।

পড়ুন: ঘুমন্ত চালকের গাড়ি চাপায় প্রাণ গেল রোজাদার বৃদ্ধ শ্রমিকের

দেখুন: বিয়ারিং লাইফটাইম সার্ভিস পেতে গাড়ি কিনুন স্কাই ট্রি থেকে | ঘরে বাইরে |

ইম/

বিজ্ঞাপন

আরও পড়ুন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

বিশেষ প্রতিবেদন