ভারতের ভাগ্যেই লেখা ছিল, তারা বিশ্বকাপ জিতবে। এমনটাই মনে করেন অধিনায়ক রোহিত শর্মা। কোচ রাহুল দ্রাবিড়েরও বিশ্বাস ছিল, তার শিষ্যরা ট্রফি জিতবে।
সৌরভ গাঙ্গুলী মজা করে বলেছিলেন, চ্যাম্পিয়ন না হলে রোহিত ক্যারিবীয় সাগরে ঝাঁপ দেবে। টানা তিন ফাইনালে হারের ধকল সইতে পারবে না। রোহিতকে ঝাঁপ দিতে হয়নি। কারণ তাঁর দল বিজয়ের ঢেউ তুলেছে ক্যারিবীয় সাগরের তীরে।
ক্রিকেট দেবতা উপহার দিয়েছে বিশ্বকাপ শিরোপা। আরও একবার টি২০ বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন ভারত। প্রথম ও নবমের মেলবন্ধন। অর্থাৎ ২০০৭ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে প্রথম টি২০ বিশ্বকাপের ফাইনালে চীর প্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তানকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল ভারত। যে শিরোপার অংশীদার ছিলেন রোহিত শর্মাও। সাত আসর পর ভিন্ন ভূমে সাউথ আফ্রিকাকে হারিয়ে অধিনায়ক রোহিত পেলেন শিরোপা।
ট্রফি জয়ের ক্ষেত্রে সাউথ আফ্রিকার ভাগ্য কখনোই পাশে ছিল না। বড় বড় টুর্নামেন্ট এলেই সেমি-ফাইনাল থেকেই ছিটকে পড়ে প্রোটিয়ারা। এবার ফাইনালে গিয়ে ট্রফি ছোয়া হল না তাদের।
ট্রফি হাতছাড়ার পর প্রোটিয়া অধিনায়ক জানালেন, পুরো ম্যাচ ভালো খেললেও শেষটা ভালো ছিল না তাদের। তবুও দল নিয়ে গর্বিত মার্করাম।
এদিকে, দ্বিতীয় শিরোপা ঘরে তুলেই, টি-টোয়েন্টিকে বিদায় বলে দিলেন বিরাট কোহলি ও রোহিত।
টি-টোয়েন্টি ফরম্যাট থেকে নিজেদের বিদায় জানানোর জন্য এর চেয়ে ভালো কোনো উপলক্ষ্য হতে পারতো না রোহিত শর্মা কিংবা বিরাট কোহলির জন্য। দলকে বিশ্বসেরা করে বিদায় জানালেন ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ততম ফরম্যাটকে। ফাইনালে বিরাট কোহলি হলেন ম্যান অব দ্য ম্যাচ। আর রোহিত শর্মা হলেন ট্রফিজয়ী অধিনায়ক। সিরিজ সেরা জনপ্রিত বুমরা।
শিরোপা জয়ের পর ক্যাপ্টেন রহিত শর্মা বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি, যা লেখা আছেই, তা হবেই। আমার মনে হয়, এটা লেখা হয়েই ছিল। তবে অবশ্যই, ম্যাচ শেষ হওয়ার আগে তো আর জানা যায় না যে, এটাই আছে লেখা। খেলাটাই এমন। নইলে তো আমরা অনায়াসেই এসে বলতে পারি যে, এটা ভাগ্যেই ছিল।’
শিরোপা হাতছাড়া হওয়ার পর প্রোটিয়া ক্যাপ্টেন এইডেন মার্করাম বলেন, ‘আপাতত হতাশ। তবে একইসঙ্গে অবিশ্বাস্যরকমের গর্বিত। আমরা ভালো বোলিং করেছি, খুব বেশি কিছু করার কিছু ছিল না, এটা তাড়া করার মতো লক্ষ্য ছিল। ভালো ব্যাটিং করেছি, শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত অপেক্ষা করেছিলাম, জিততে না পেরে হতাশ লাগছে।’