মৃত্যুদণ্ডাদেশ চূড়ান্ত না হলে কোনো আসামিকে কারাগারে কনডেম সেলে রাখা যাবে না, সিদ্ধান্ত দিয়েছে হাইকোর্ট। তাকে দিতে বন্দিদের জন্য প্রযোজ্য সব সুবিধা। রাষ্ট্রপতির ক্ষমার আবেদন নাকচ হলেই তার মৃত্যুদণ্ড চূড়ান্ত বলে ধরতে হবে। দুপুরে হাইকোর্টের এক দ্বৈত বেঞ্চ জেলকোডের ৯৮০ বিধিটি অসাংবিধানিক বলেও ঘোষণা করে।
কনডেম সেল বা কারাগারের নির্জন প্রকোষ্ঠ। দিন রাত সেখানে সমান। নিম্ন আদালতে মৃত্যুদন্ড হলেই এই কক্ষে জায়গা হয় আসামিদের। ২০২২ সালের নভেম্বর পর্যন্ত ২৫৫৬ জন এই কনডেম সেলে আছেন।
মৃত্যুদণ্ডাদেশ চূড়ান্ত হওয়ার আগে তাঁদের নির্জন প্রকোষ্ঠে রাখা কেন বেআইনি হবে না জানতে ২০২৩ সালে রুল জারি করে আদালত। দুপুরে বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি মো. বজলুর রহমানের বেঞ্চ সাড়ে তিন ঘন্টার পর্যালোচনায় যুগান্তকারী রায় দেয়।
আদালত বলেছে, কোনো আসামির মৃত্যুদণ্ড আপিল বিভাগ এবং রিভিউয়ের পরও বহাল থাকলে এবং রাষ্ট্রপতির ক্ষমার আবেদনও নাকচ হয়ে গেলেই তার মৃত্যুদণ্ডাদেশ চূড়ান্ত বলে ধরতে হবে।
মৃত্যুদণ্ডাদেশ চূড়ান্তের আগেই যাদের কনডেম সেলে রাখা হয়েছে, তাদের পর্যায়ক্রমে সাধারণ সেলে স্থানান্তরের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে কারা কর্তৃপক্ষকে। আর এ কাজের জন্য দুই বছর সময় বেঁধে দিয়েছে হাইকোর্ট।
তবে রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ আইন কর্মকর্তা বলেন, সুপ্রিম কোর্টে এই বিষয়ে আগে কোন জাজমেন্ট হয়নি সুতরাং সরকারের সাথে আলোচনা করে পরবর্তী পদক্ষেপ ঠিক করার কথা।
সেইসঙ্গে অন্য মৃত্যুদণ্ডাদেশ পাওয়াদেরও অন্য বন্দিদের মতো সব সুযোগ-সুবিধা দিতে নির্দেশ দিয়েছে উচ্চ আদালত। কোনো দণ্ডিত আসামি যদি তেমন কোনো সংক্রামক ব্যধিতে আক্রান্ত হন যে তাকে অন্যদের সাথে রাখা ঝুঁকিপূর্ণ, তখন তাকে কনডেম সেলে রাখা যেতে পারে বলে মত দিয়েছে আদালত।