মেঘনার তীব্র স্রোতের কারণে ভোলার ইলিশা ঘাটের তীর সংরক্ষণ বাঁধের ১০ মিটার এলাকা জুড়ে সিসি ব্লক ধসে পড়েছে। এতে বেশ কয়েকটি দোকান ক্ষতিগ্রস্ত ও একটি লঞ্চঘাট ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। এছাড়াও বেশ কয়েকটি জায়গায় ফাটলও দেখা দিয়েছে। শহর রক্ষা বাঁধের এমন দশায় শঙ্কিত দুই ইউনিয়নের মানুষ।
নদী ও সাগর বেষ্টিত একমাত্র দ্বীপ জেলা ভোলা। সিসি ব্লক বাঁধ নির্মানের আগে মেঘনা নদীর তীব্র স্রোতে ঘরবাড়ি হারিয়ে নিঃস্ব হয়েছে বহু মানুষ। এমনকি ভোলা সদর উপজেলার বেশ কয়েকটি ইউনিয়ন মেঘনার গর্ভে বিলীন হয়ে যাওয়ার অবস্থা সৃষ্টি হয়। এমন পরিস্থিতিতে ২০১৬ সালে শহর রক্ষা বাঁধ নির্মাণ প্রকল্পের কাজ শুরু হয়ে শেষ হয় ২০২১ সালে।
গত বছরের সেপ্টেম্বরের শুরুতে হঠাৎ ইলিশা ঘাটের ২টি স্থানে শুরু হয় ব্লক ধস। এতে ধসে পড়ে ২০০ মিটার সিসি ব্লক। পানি উন্নয়ন বোর্ড ২০ হাজার জিও ব্যাগ ফেলে পরিস্থিতি কিছুটা সামাল দিলেও ৬ মাসের ব্যবধানে আবারো ধসে পড়েছে ইলিশা ঘাটের ১০ মিটার এলাকার সিসি ব্লক।
এ অবস্থা এখন সামাল না দিলে সামনে বর্ষায় মেঘনা নদীর তীব্র স্রোতে বিলীন হয়ে যেতে পারে ৪টি লঞ্চঘাট, ২ ফেরীঘাট, শতশত ব্যবসা প্রতিষ্ঠানসহ দুই ইউনিয়নের মানুষের ঘরবাড়ি। ধস ঠেকাতে নদীর গভীরতা জরিপের কাজ চলছে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। ভোলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ হাসানুজ্জামান জানান, ব্লক ধসের বিষয়টি পর্যবেক্ষণে রয়েছে। নেয়া হবে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা।
৩৩০ কোটি টাকা ব্যয়ে ভোলা সদর উপজেলার এ শহর রক্ষা বাঁধ নির্মাণ প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হয়।