সড়ক দুর্ঘটনা কমাতে শহরে মোটরসাইকেলের সর্বোচ্চ গতি ৩০ কিলোমিটার বেঁধে দিয়েছে সড়ক পরিবহন মন্ত্রণালয়। তবে নতুন এই গতিসীমাকে সাধারণ যাত্রীরা স্বাগত জানালেও চালকদের মধ্যে রয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। বিশেষ করে রাইড শেয়ারিং চালকরা বলছেন, নতুন এই নীতিমালা সম্পূর্ণ অযৌক্তিক।
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে সড়কে যত দুর্ঘটনা ঘটেছে, এর বেশির ভাগই মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা। রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে নিয়ন্ত্রণহীন বেপরোয়া গতির কারণে প্রাণ হারাচ্ছে অসংখ্য মানুষ।
বেপরোয়া গতি, ট্রাফিক আইন ভাঙাসহ নানান অভিযোগ আছে মোটরসাইকেল চালকদের বিরুদ্ধে। তাই এমন বাস্তবতায় বাস ট্রাক আর প্রাইভেট কারের মতো মোটরসাইকেলের জন্যও গতিসীমা বেঁধে দিয়েছে সড়ক পরিবহন মন্ত্রণালয়। নতুন আইন অনুযায়ী সারা দেশের শহর বা সিটি কর্পোরেশন এলাকায় মোটরসাইকেলের গতি হবে সর্বোচ্চ ৩০ কিলোমিটার।
মোটরসাইকেলের গতিসীমা বেধে দেয়ায় ক্ষুব্ধ চালকরা। রাইড শেয়ারের ক্ষেত্রে দ্রুত যাত্রীকে গন্তব্যে পৌঁছানে সম্ভব হবে না বলে মনে করেন তারা।
তবে এমন সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানিয়েছেন যাত্রীরা। তাদের দাবি, বেপরোয়া গতির লাগাম টানলে কমে আসবে সড়ক দুর্ঘটনা।
সর্বোচ্চ গতিসীমার এই বাধ্যবাধকতা শুধুমাত্র স্বাভাবিক অবস্থায় প্রযোজ্য হবে, দুর্যোগপূর্ণ কিংবা প্রতিকূল পরিস্থিতিতে নিরাপদ গতিসীমা প্রযোজ্য হবে।