বৈধ কাগজপত্র না থাকায় হাতকড়া ও পায়ে শিকল পরিয়ে প্রথম দফায় আমেরিকা থেকে ফেরত পাঠানো হয়েছে ১০৪ জন ভারতীয়কে। তারা সেখানে অবৈধভাবে বসবাস করছিলেন। এদের মধ্যে পাঞ্জাব, গুজরাট এবং মহারাষ্ট্রের বাসিন্দারা রয়েছেন।তবে ওয়াশিংটন যেভাবে প্রত্যাবসন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করছে তা নিয়ে মোদী সরকারের সমালোচনা শুরু করছে ভারতের বিরোধীরা।
বৃহস্পতিবার (০৬ জানুয়ারি) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর বলেছেন, অবৈধ অভিবাসীদের প্রত্যাবাসন যুক্তরাষ্ট্রের নতুন কোনও পদক্ষেপ নয়। গত কয়েক বছর ধরেই এই প্রক্রিয়া চলমান।
বিরোধীরা এ বিষয়ে জয়শঙ্কের বিবৃতি দাবি করেন। এরপর তিনি বলেন, প্রত্যেক বছরই কিছু না কিছু অবৈধ ভারতীয় অভিবাসীকে ফেরত পাঠানো হয়। ২০১২ সালে এই সংখ্যা ছিল ৫৩০ জন এবং ২০১৯ সালে ছিল দুই হাজার।
এর আগে তৃণমূলের এক এমপি প্রশ্ন তোলেন কেন ভারতীয়দের ফেরত আনার জন্য মোদি সরকার কোনও প্লেন পাঠাচ্ছে না।
যুক্তরাষ্ট্রে অবৈধভাবে প্রবেশ করা প্রায় ১০০ ভারতীয় অভিবাসীকে দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে। একটি মার্কিন সামরিক বিমান ওই অবৈধ অভিবাসীদের নিয়ে পাঞ্জাবের একটি বিমানবন্দরে অবতরণ করে। স্থানীয় সময় গত মঙ্গলবার রাতে টেক্সাস থেকে যাত্রা করে ওই সামরিক বিমানটি।
দ্বিতীয়বারের মতো ক্ষমতাগ্রহণ করেই অবৈধ অভিবাসীদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থানরত সব অবৈধ অভিবাসীকে নিজ নিজ দেশে ফেরত পাঠানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
যুক্তরাষ্ট্র জানিয়েছে, দেশটিতে প্রায় ১৮ হাজার ভারতীয় নাগরিক অবৈধভাবে প্রবেশ করেছেন বলে চিহ্নিত করা গেছে। সে সময় ট্রাম্প জানান, ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তাকে আশ্বস্ত করেছেন যে, ভারতের অবৈধ নাগরিকদের ফিরিয়ে নেওয়া হবে।
স্থানীয় সময় বুধবার দুপুরে পাঞ্জাবের অমৃতসরের শ্রী গুরুদাস রামদাসজি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ভারতীয় অভিবাসীদের বহনকারী মার্কিন সামরিক বিমানটি অবতরণ করে।
পড়ুন:মোদির বিতর্কিত পোস্ট, যে বার্তা দিলো পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
দেখুন:কেন এখনও নিঃসঙ্গ নরেন্দ্র মোদি? |
ইম/