30 C
Dhaka
শনিবার, জুলাই ২৭, ২০২৪
spot_imgspot_img

যুদ্ধবিরতির দিকে যাচ্ছে ইসরায়েল-হামাস

ইসরায়েলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসরায়েল কাটজ জানিয়েছেন, গাজা উপত্যকায় বন্দি থাকা সব জিম্মিদের মুক্ত করাই ইসরায়েলের প্রধান লক্ষ্য। তিনি বলেন, বন্দিদের মুক্তি দিতে কোনো চুক্তি হলে ফিলিস্তিনের গাজার দক্ষিণের শহর রাফাহতে অভিযানের সিদ্ধান্ত বাতিল করতে পারে ইসরায়েল। কাটজ তখন এই মন্তব্য করলেন যখন গাজায় ইসরায়েলের গত ৬ মাস ধরে চলা হামলা বন্ধ এবং জিম্মিদের মুক্ত করতে আন্তর্জাতিক মধ্যস্থতাকারীরা একটি চুক্তির বিষয়ে জোরারোপ করছেন।

কাটজ ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনইয়ামিন নেতানিয়াহুর নিরাপত্তা সংক্রান্ত মন্ত্রিসভার সদস্য হলেও গাজা যুদ্ধ সংক্রান্ত দেশটির যুদ্ধকালিন জরুরী মন্ত্রিসভার সদস্য নন।

৭ অক্টোবর ইসরায়েলের ভেতরে ফিলিস্তিনের সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস হামলা চালায়। ওই হামলায় নিহত হয় অন্তত ১২শ ইসরায়েলি। তখন ইসরায়েল থেকে জিম্মি করা হয় ২০০ জনের বেশি ইসরায়েলিকে। এরপর থেকে গাজায় পাল্টা হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল।

ইসরায়েল জানিয়েছে, ৭ অক্টোবর যে হামাস ইসরায়েলে হামলা করেছিলো, রাফাহতে সেই গোষ্ঠীর পিছু হটা কয়েক হাজার সদস্য মিলে আরও ৪টি ব্যাটেলিয়ান গড়ে তুলেছে। জয়ের জন্য সেই ঘাটিগুলো ইসরায়েলকে গুড়িয়ে দিতে হবে।

বর্তমানে গাজার অন্যান্য এলাকাগুলোতে ইসরায়েলের হামলার কারণে মিশর সীমান্তবর্তী রাফাহতে ১০ লাখের বেশি ফিলিস্তিনি আশ্রয় নিয়েছে।

২৭ এপ্রিল হামাস জানিয়েছে, ‘‘মিশর এবং কাতারের মধ্যস্থতায় ইসরায়েলকে দেওয়া একটি যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবের জবাব তারা ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে পেয়েছে। এ বিষয়ে চিন্তাভাবনা করে জবাব দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে হামাস। ২৬ এপ্রিল জাতিসংঘ এবং আরও ১৭টি দেশ চলমান সংকট নিরসনে জিম্মিদের মুক্তি দিতে হামাসকে অনুরোধ জানায়।

বর্তমানে হামাসের কাছে নারী ও শিশুসহ ১৩০ জনের বেশি ইসরায়েলি জিম্মি রয়েছে। সম্প্রতি এমন দুজন জিম্মির ভিডিও প্রকাশ করে হামাস। ভিডিওতে ওই জিম্মিদের তাদের পরিবারের কাছে ফিরে যাওয়ার আকুতি জানাতে দেখা যায়।

spot_img
spot_img

আরও পড়ুন

spot_img

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

বিশেষ প্রতিবেদন